কলকাতা নাইট রাইডার্স একটা সময় গৌতম গম্ভীরের টিম ছিল। ২০১২ ও ২০১৪ সালে তাঁর নেতৃত্বেই দু-বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নাইটরা। এ বার মেন্টর হিসেবে কেকেআরে ফিরেছেন। গম্ভীর থাকা মানেই তাঁর টিম। তিনি নিজেই এমনটা বলেছেন। কেকেআর কর্ণধার শাহরুখ তাঁকে সেই স্বাধীনতাই দিয়ে রাখেন। টিম নিয়ে যা খুশি করতে পারেন গম্ভীর। ক্যাপ্টেন হিসেবে ট্রফির স্বাদ দিয়েছিলেন, এ বার লক্ষ্য মেন্টর হিসেবে। অভিযানের শুরুটা হয়েছে দুর্দান্ত।
ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচে বিশাল জয়। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ১৮২ রানে আটকে রাখা, কেকেআরের জন্য বড় প্রাপ্তি। একঝাঁক ক্যাচ মিস হয়েছে নাইটদের। টানা দুটি জয়ের পরও যা চিন্তায় রাখতে পারে নাইট মেন্টর গৌতম গম্ভীরকে। তবে এই একটা অংশ বাদ দিলে বেঙ্গালুরুতে নাইট দাপট।
কোনও বিতর্ক নেই। বরং মাঠে প্রতি মুহূর্তে সুন্দর দৃশ্য। একটা নিখুঁত ম্যাচ। কয়েকটা ক্য়াচ মিস বাদ দিলে কেকেআরের প্রাপ্তি অনেক। বোর্ডে ১৮৩ রানের বিশাল টার্গেট থাকলেও কেকেআর শিবিরে কোনও চাপ ছিল না। তার কারণ সুনীল নারিন। প্রথম ম্যাচে রান আউটের হতাশা নিয়ে ফিরেছিলেন। এ দিন শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে সুনীল নারিন। ২২ বলে ৪৭ রানের ইনিংস।
ফিল সল্ট (৩০), সুনীল নারিনদের (৪৭) গড়ে দেওয়া ভিতে অনবদ্য ব্যাটিং ভেঙ্কটেশ আইয়ারের। তার আক্ষেপ থাকতেই পারে, অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়া হল না। ২৯ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ভেঙ্কটেশ। তবে দলকে জয়ের সামনে পৌঁছে দেন। যশ দয়ালের স্লোয়ারে পরাস্থ ভেঙ্কি। সকলেই যেন অপেক্ষা করছিলেন রিঙ্কু সিংয়ের ব্যাটিং দেখার জন্য। তাঁকে অবশ্য খুব বেশিক্ষণ থাকতে হয়নি। শ্রেয়সের সঙ্গে জিতে মাঠ ছাড়েন রিঙ্কু। শ্রেয়স ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
জীবনদানও পেয়েছিলেন শ্রেয়স। পাঁচ রানে ব্যাট করছিলেন। বিজয়কুমার বিশাখের শর্টপিচ ডেলিভারি। ক্যাচ মিস যশ দয়ালের। তা অবশ্য খুব বেশি পার্থক্য গড়ে দিতে পারত না। কেকেআর ব্যাটিংয়ের তখনও অনেক বাকি। আর ম্যাচ পুরোপুরি কেকেআরের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। ১৯ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয় কেকেআরের।