সিংহাসনে বসার পরেই জনসাধারণের রোষের মুখে পড়েছেন রাজা তৃতীয় চার্লস (King Charles III)। এরইমধ্যে নতুন রাজার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল, অন্তত ১০০ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দিতে চাইছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ওই একশোজনকে নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি চাকরি ছেড়ে দিতে হবে তাঁদের। দেশজুড়ে শোকের আবহের মধ্যে রাজার এহেন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছে ব্রিটেনের কর্মী সংগঠনগুলি।
রাজপরিবারের এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পরেই ক্ষুব্ধ হয়েছে কর্মচারী সংগঠন পাবলিক অ্যান্ড কমার্শিয়াল সার্ভিসেস ইউনিয়ন। ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মার্ক সেরওয়াটকা জানিয়েছেন, ‘আমরা জানতাম যে রাজপরিবারের কার্যপদ্ধতিতে বেশ কিছু বদল করা হবে। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি এইভাবে ঘোষণা করে দেওয়া, অত্যন্ত কঠোর সিদ্ধান্ত।’ আরও জানা গিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত শুনে কর্মচারীরা সকলে রীতিমতো হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে, খুব তাড়াতাড়িই নিজেদের পুরনো বাসস্থান ছেড়ে বাকিংহ্যাম প্যালেসে চলে যাবেন রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলা। সেই কারণেই তাঁদের পুরনো বাসস্থান ক্ল্যারেন্স হাউস থেকে শতাধিক কর্মীকে ছাঁটাই করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজপরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ‘নতুন রাজা ও রানির বাড়ির সমস্ত কাজ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। আমাদের কর্মচারীরা বিশ্বস্তভাবে কাজ করেছেন। কিন্তু সেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। তবে অবিলম্বে ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের পুনরায় কাজে বহাল করার চেষ্টা চলছে।’