সমুদ্রের অতলে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম একটি বিশেষ ড্রোনের পরীক্ষামূলক মহড়া চালিয়েছে কিম জং উনের দেশ। এই অস্ত্রের হামলায় তেজস্ক্রিয় সুনামি ঘটবে বলে দাবি করেছে সে দেশ। যা ঘিরে নতুন করে শঙ্কা তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। শুক্রবার এই অস্ত্রের কথা প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়া।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির শুক্রবার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টে এই আন্ডার ওয়াটার ড্রোনের বিষয়টি উঠে এসেছে। উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলে এই ড্রোনের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। বিস্ফোরণের আগে প্রায় ৬০ ঘণ্টা এটি উড়ানো হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এ ব্যাপারে কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) বলেছে, ‘জলপথ দিয়ে লুকিয়ে চালানো হামলা আটকাতো এই আন্ডার ওয়াটার স্ট্র্যাটেজিক অস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছে। শত্রু পক্ষের নৌবাহিনী আক্রমণকে সমুদ্রেই প্রতিহত করে সুপার স্কেল রেডিও অ্যাক্টিভ সুনামি তৈরি করবে এই ড্রোন। তা ধ্বংস করবে শক্রপক্ষের নৌবাহিনী ও অপারেশনাল বন্দর।’
আমেরিকা ও তাঁর সহযোগীদের উপর বার্তা দিয়েই এই আন্ডার ওয়াটার ড্রোন পরীক্ষা বলে কূটনৈতিক মহলের দাবি। এই ড্রোনের হামলায় তেজষ্ক্রিয় (রেডিও অ্যাক্টিভ) সুনামিও হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়া চালাচ্ছে মার্কিন সেনা। গত ৬ বছরে এটাই দু’দেশের মধ্যে সবথেকে বড় যৌথ মহড়া। এই মহড়া চলার সময়ই একাধিক ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেছে কিম জং উনের দেশ। সেই তালিকাতেই এ বার জুড়ল জলের তলার হামলা চালাতে সক্ষম এই ড্রোন।