যুদ্ধাস্ত্র তৈরির তৎপরতার মাঝে ফের মিসাইল ছুঁড়ল কিমের ফৌজ

একদিকে চিন ও উত্তর কোরিয়া। অন্যদিকে আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান জোট। দু’পক্ষের বিবাদে কার্যত বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছে কোরীয় উপদ্বীপ। যে কোনও সময় বাজতে পারে যুদ্ধের ডঙ্কা। দ্রুত অত্যাধুনিক ও শক্তিশালী অস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন। এবার যুদ্ধাস্ত্র তৈরির তৎপরতার মাঝেই ফের মিসাইল ছুঁড়ল কিমের ফৌজ। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার জাপান সাগরে মিসাইল পরীক্ষা শুরু করে পিয়ংইয়ং। রণক্ষেত্রে প্রতিপক্ষকে মাত দিতে শুধু অস্ত্রশস্ত্র নয়, কৌশলগত দিক থেকেও পুরোপুরি তৈরি থাকতে চাইছে কিমের দেশ। তাই এই মহড়া শুরু করেছে উত্তর কোরিয়া।
উল্লেখ্য, শত্রুপক্ষকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এর আগেও বেশ কয়েকবার জাপান সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। গত জুলাই মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরে প্রবেশ করেছিল মার্কিন নৌসেনার সাবমেরিন। তাতে ‘অস্তিত্ব সংকটে’র আশঙ্কায় মিসাইল উৎক্ষেপণও করা হয়েছিল। এখন এই যুদ্ধাস্ত্রের পরীক্ষা নিরীক্ষার তৎপরতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে পিয়ংইয়ং। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত অত্যাধুনিক ও শক্তিশালী অস্ত্রশস্ত্র তৈরি হচ্ছে সে দেশে। গোটা পরিস্থিতির তীক্ষ্ণ উপর নজর রাখছেন কিম। নিজেই ঘুরে দেখছেন বিভিন্ন অস্ত্র তৈরির কারখানা।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল খুব শীঘ্রই আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে সামরিক মহড়া শুরু করবে। এই জোটের বিরুদ্ধে অস্ত্রে শান দিচ্ছে পিয়ংইয়ংও। যদিও ওয়াশিংটন ও সিওল জানিয়েছিল, উত্তর কোরিয়ায় আক্রমণের কোনও উদ্দেশ্য তাদের নেই। কিন্তু অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত থাকাই এখন একনায়ক কিমের লক্ষ্য। তাই গত ৯ অগস্ট ‘সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের’বৈঠকে সেনাবাহিনীকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − eleven =