ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে (Keiv) ১৫ মার্চ রাত আটটা থেকে আগামী ১৭ মার্চ সকাল সাতটা অবধি, অর্থাৎ প্রায় ৩৫ ঘণ্টার জন্য লাগু থাকবে কার্ফু (Curfew)। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসচক। এই সময়ে শুধুমাত্র বোমা হামলা থেকে বাঁচতে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারবেন নাগরিকরা। গোলাগুলির ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে কিয়েভে, আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
তাই ৩৫ ঘণ্টার জন্য কার্ফু লাগু হচ্ছে কিয়েভে। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসচক জানিয়েছেন, ‘বিশেষ অনুমতি ছাড়া শহরে ঘোরাফেরা করা নিষিদ্ধ থাকছে, বোমা আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়াতেই শুধু ছাড়া, রাজধানী ইউক্রেনের হৃদয় ও প্রাণকেন্দ্র তা রক্ষা করা হবে। কিয়েভ যা বর্তমানে ইউরোপের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার প্রতীক এবং অগ্রবর্তী অপারেটিং ভিত্তি, এভাবে হাল ছেড়ে দেওয়া হবে না।’ ইউক্রেনে ফের বড় ক্ষতি হয়েছে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর, এমনই দাবি করেছেন ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী।
এদিকে সোমবার বিকেল থেকে নতুন করে শুরু হয়েছিল চতুর্থ দফার শান্তি আলোচনা। কিন্তু রাত থেকেই কিভ দখলের লক্ষ্যে ‘ফাইনাল অ্যাসল্ট’ শুরু করেছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী। বিভিন্ন দিক থেকে শুরু হয়েছে হামলা। সেনা এবং সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি নিহতদের তালিকায় রয়েছেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও। মঙ্গলবার রুশ বোমায় ওই চিত্রসাংবাদিকের (Photo Journalist) মৃত্যুর খবর জানিয়েছে ইউক্রেন সরকার।
অন্যদিকে মঙ্গলবার যুদ্ধের ২০তম দিনে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন’ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৩০ লক্ষ ইউক্রেনীয় নাগরিক রুশ হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়েছেন। এর আগে সোমবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের শরণার্থী বিষয়ক দপ্তর (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছিল, তখনও পর্যন্ত ২৭ লক্ষ ইউক্রেনীয় নাগরিক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৭ লক্ষই গিয়েছেন পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডে।