কলকাতা: বিয়েবাড়িতে ভিড়ের মাঝে কোলে নেওয়ার নাম করে শিশুকে অপহরণ!
কালীঘাট থেকে অপহৃত ১০ মাসের সেই একরত্তির সন্ধান মিলল হাওড়ার আন্দুল রোডে। ঘটনার দু’দিন পর গামছা জড়ানো অবস্থায় সেই শিশুটিকে পাওয়া গেল আন্দুল রোডে একটি মন্দিরের চাতালে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত রবিবার বিকেলে কলকাতার কালীঘাট থানা এলাকার একটি বিয়েবাড়ি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে সস্ত্রীক আমন্ত্রিত ছিলেন কলকাতার তালতলা এলাকার বাসিন্দা সুভাষ সাউ। সুভাষের স্ত্রী খুশবুর কোলে ছিল তাঁদের সন্তান। মায়ের কোলে শিশুটি কাঁদছিল। সেই সময় অপরিচিত এক জন খুশবুকে সাহায্য করার অছিলায় শিশুটিকে কোলে নেন। বাচ্চাকে শান্তù করতে কোলে নেন। তারপর ভিড়ের মাঝে সুযোগ বুঝে গা ঢাকা দেন।
সুভাষ জানান, তারপর বহু খুঁজেও ওই ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি। বাচ্চা হারিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন বাবা-মা। রবিবার সন্ধ্যায় অভিযোগ দায়ের হয় কালীঘাট থানায়। এর পর কালীঘাট থানার পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এর তদন্ত শুরু করে। গত দু’দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ চলে।
অন্য দিকে, সোমবার সন্ধ্যায় আন্দুল রোডের ধারে একটি মন্দিরের চাতালে গামছা জড়ানো অবস্থায় একটি শিশুকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। বাদল আইচ নামে এক টোটোচালক বাচ্চাটির কান্নার শধ শুনতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে। বাঁকড়া আইসিডিএস কেন্দ্রের কর্মী মুনমুন ঘোষ সেই সময় স্বামীর সঙ্গে বাজারে যাচ্ছিলেন। তিনিও ভিড় দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন। দুধের শিশুটিকে কোলে তুলে নেন তিনি। খবর দেওয়া পুলিশে।
ঘটনাস্থলে আসে সাঁকরাইল থানার পুলিশ এবং স্থানীয় মাশিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির ছবি ভাইরাল করে দেওয়া হয় সমাজমাধ্যমে। সেখান থেকেই খবর পান সুভাষ। কালীঘাট থানার পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা সাঁকরাইল থানায় যায়। এর পর শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
শিশুটিকে কে ওখানে আনল, কোনও অপহরণ চক্র কাজ করেছে কি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।