নিজস্ব প্রতিবেদন, ব্যারাকপুর: অন্তঃসত্ত্বা বধূর পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শিবদাসপুর থানার নৈহাটির মামুদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলিয়াগড় দিঘিরপাড় এলাকার ঘটনা। যদিও পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসারত বধূর মৃত্যু হয়েছে। মৃতার নাম পূজা সরকার (২৩) । মৃতার পরিবারের তরফে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে শিবদাসপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও ঘটনায় অভিযুক্তরা বেপাত্তা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুলিয়াগড়ের বাসিন্দা রাজমিস্ত্রির ঠিকাদার বিধান হালদারের সঙ্গে দু’বছর আগে দেখাশোনা করেই বিয়ে হয়েছিল নৈহাটি দোগাছিয়া তালবাগান এলাকার বাসিন্দা পুজা সরকারের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে পূজার ওপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার চালাতো শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, গত ৮ নভেম্বর পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পুজার পেটে লাথি মারে তাঁর স্বামী। অসুস্থ হয়ে পড়ায় নৈহাটি হাসপাতালে কিছুদিন ভর্তি রাখতে হয় তাঁকে। এরপর বাপের বাড়িতে পূজা ফিরে এসেছিলেন। মৃতার মাসি উমা সিংহরায় জানান, শনিবার ফের পেটে যন্ত্রনা শুরু হলে পূজাকে প্রথমে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায়, ওঁকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার বিকেলে হাসপাতালেই পূজার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে শিবদাসপুর থানার পুলিশ। এ প্রসঙ্গে মামুদপুর পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান হারান ঘোষ জানান, মৃতার পরিবারের পাশে আছি। ওই পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে। তাছাড়া প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলেছি।