সাইবার ক্রাইমের শিকার খানাকুলের মহিলা, তদন্তে দিল্লির সাইবার সেল

হুগলি: ভয়ঙ্কর সাইবার ক্রাইমের শিকার খানাকুলের এক প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলা। এই মহিলার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার লেনদেন করা হয় বলে অভিযোগ। মহিলার অজান্তেই চলে কোটি কোটি টাকার লেনদেন অথচ সে জানতেই পারে না। ঘটনাটি ঘটেছে, হুগলি জেলার খানাকুলে। জানা গিয়েছে, ঘাশুয়া গ্রামের বাসিন্দা রীতা জানার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয় কোটি কোটি টাকা লেনদেন করার জন্য বলে অভিযোগ। বর্তমানেও তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নাকি ৪৯ লক্ষ টাকা আছে। সে তার অজান্তে সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়। তার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে সাইবার শিকারিরা। তারপর চলে অন্ধকার জগতের খেলা। অথচ সরল সাদা সিদে গ্রামের গৃহবধূ রীতা তা জানতেই পারে না। বুধবার গভীর রাতে তার বাড়িতে হানা দেয় দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল। চলে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ। এমনকী খানাকুল থানাতেও তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। ™রে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রীতা জানার স্বামীর নাম উৎপল জানা। সে নাকি হাওড়াতে আলাদা থাকেন। একা অসহায়ভাবেই বাস করেন রীতা। তবে এই ঘটনা নিয়ে রীতা বলেন, কোথা থেকে টাকা এল কিছুই জানি না। বুধবার বাড়িতে দিল্লি থেকে লোক এসেছিল বলে আপনার অ্যাকাউন্টে এত টাকা এসেছে। প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা এখনও আছে। শুনে আমি অবাক হয়ে গেছি, আমার অ্যাকাউন্টে এত টাকা এসেছে! এরপর দিল্লি পুলিশ জিজ্ঞাসা করে, এত টাকা অ্যাকাউন্টে ল কি করে? কিছুই জানি না বলি। এরপর আমি যে ব্যাংকে একাউন্ট করেছি সেখানেও দেখি অ্যাকাউন্টে ৪৯ লক্ষ টাকা আছে। হয়তো আমার এই অ্যাকাউন্টটি অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারে, আমি জানতামই না। এমনকী আমার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকাও তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানান রীতা জানা। এই জন্যই আমি আরামবাগ এসডিপিও দ্বারস্থ হই। অপরদিকে এই বিষয়ে আরামবাগের এসডিপিও অভিষেক মণ্ডল বলেন, যেটা জানা গেল খানাকুলের একজন মহিলার তার নাম রীতা জানা, তার একটি আইসিআইআইসিআই ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট আছে। সেখানে সাইবার ফ্রডের কিছু অ্যামাউন্ট জমা পরে। যেটা প্রায় ৫০ লক্ষের কিছু কাছাকাছি। এই টাকা তার অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হয়ে আছে। সে নিয়ে দিল্লিতে কোন কেস হয়েছে, দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল থেকে একটি টিম একটি নোটিস নিয়ে সার্চ করতে এসেছিলেন। সেই নোটিসটা রীতা জানাকে দেওয়া হয়েছে এবং নোটিসে কমপ্লেন করতে বলা হয়েছে। সাইবার রিলেটেড যে সমস্ত ফ্রড হচ্ছে তার জন্য হুগলি রুরাল পুলিশ বিভিন্ন সচেতনতামূলক ক্যাম্প করা হয়েছে। লোকজনদের সচেতন করছি। বিভিন্ন ধরনের যে সমস্ত ক্রাইম হয় সেসব ফাঁদে যেন না পড়ে মানুষ। সচেতন করার পাশাপাশি লিফলেট ও নিয়ম প্রচার করছি। আমাদের যে সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ আছে সেই পেজে তো আমরা মানুষকে সচেতন করছি। তাতে মানুষ এই ধরনের ফাঁদে না পরে। তবে বিষয়টি দিল্লির সাইবার ক্রাইম সেল তদন্ত করছে। সবমিলিয়ে এই ঘটনায় হতবাক এলাকার মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − nine =