মহেশ্বর চক্রবর্তী
শিশু নিগ্রহ এবং বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা বাড়াতে অভিনব উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকের। এবার পায়ে হেঁটে হুগলি জেলার খানাকুলেরর রঘুনাথপুর থেকে বাল্য বিবাহ রোধে সচেতনতামূলক প্রচার করতে দিল্লিযাত্রা করেন শিক্ষক দেবাশিস মুখার্জি। একেবারে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় গোলাপ সুন্দরী সেজে খানাকুলের মাঝপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবাশিষ মুখার্জি পায়ে হেঁটে দিল্লি যাত্রা করেন। খানাকুলের পবিত্রভূমি রঘুনাথপুর হল ভারতের আধুনিক মানুষ তথা নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম প্রান পুরুষ রাজা রামমোহন রায়ের বসতবাড়ি। তাই তিনি রাজা রামমোহন রায়ের বসতবাড়ি থেকেই যাত্রা শুরু করেন। জানা গিয়েছে, খানাকুল থেকে দিল্লি প্রায় ১৫০০ কিলোমিটারের পথ হেঁটে যেতে সময় লাগবে ৪০ দিন। তাই দেবাশিসবাবু এই অভিযানের নাম দিয়েছেন, মিশন ৪০। ফাঁকা রাস্তায় হাঁটার সময় গোলাপ সুন্দরীর সাজ খুলে রাখছেন দেবাশিস। লোকালয়ে ঢোকার আগে ফের গোলাপসুন্দরীর বেশ ধরছেন। লক্ষ্য স্থির রাখতে প্রবল শীতের ঠান্ডাকে উপেক্ষা করেই পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেন। এই বিষয়ে দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, রাজা রামমোহন রায়ের বসতবাড়ির আমবাগান থেকে যাত্রা শুরু করেছি। প্রথম দিন প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ কিমি হেঁটে গোঘাটের রঘুবাটি এলাকায় অবস্থিত এক সহকারি শিক্ষকের কাছে রাত্রিযাপন করেন বলে জানান। তারপর আবার যাত্রা শুরু করেন।
আরামবাগ, গোঘাট হয়ে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়খণ্ড, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ হয়ে তাঁর দিল্লি পৌছনোর কথা। দিল্লিতে তিন দিন প্রচারের পাশাপাশি রামমোহনের জন্মভূমি পর্যন্ত রেলপথের দাবিতেও তিনি সরব হবেন বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানান। ফেরার পথে অবশ্য ট্রেনে ফিরবেন এবং এই অভিযানের জন্য বিদ্যালয় থেকে ৪৫ দিন নাকি তিনি ছুটি নিয়েছেন। সবমিলিয়ে সমাজ সংস্কারে তাঁর এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানায় এলাকার বিশিষ্ট মানুষ থেকে সাধারণ মানুষ।