তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের উত্তপ্ত কেশপুর

চিত্ত মাহাতো

তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কেশপুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে ঘটনার সূত্রপাত, এদিন ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে কেশপুরে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই মিছিলে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই মূলত কেশপুর ব্লকের গরগজপোতা এবং শাকপুর গ্রামে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিন পুলিশ বাহিনী কোনওভাবে সামাল দিলেও মঙ্গলবার সকালে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বাঁশ লাঠি নিয়ে মারামারি। সংঘর্ষে দু’পক্ষের ৬ জন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত চারজনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে পুলিশের সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে শাসকদলের নেতা কর্মীরা। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তন্ময় দাস কটাক্ষ করে বলেন, আসলে এলাকার দখলে থাকবে তা নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে লড়াই। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে কেশপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে জেলা নেতা মহম্মদ রফিক পুলিশকে এসি ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়ে খেলা খেলার উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখেন। তার সেই বক্তব্যের পরই মঙ্গলবার ভোর থেকে কেশপুর ব্লকের ১০ নম্বর অঞ্চলের শাকপুর ও গরগোজপোতা গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। লাঠির আঘাতে মাথা ফেটে যাওয়া এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সহ আহত ৬ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় কেশপুর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। চোট গুরুতর হওয়ায় ৪ জনকে পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা অস্বীকার করে বিধায়ক তথা জেলা নেতা অজিত মাইতি বলেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়, দুটো পাড়ার মধ্যে সমস্যা হয়েছিল, পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 1 =