পরিবারের দীর্ঘদিনের আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে অচেনা ২ প্রৌঢ়াকে বলি দিলেন তন্ত্রমন্ত্রে বিশ্বাসী এক দম্পতি। অভিযোগ, অপহরণ করে হত্যার পর তাদের দেহ টুকরো টুকরো করে পুতে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দম্পতি-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পাঠানমথিট্ট জেলার থিরুভাল্লা এলাকায়।
সূত্রের খবর, রোজেলিন ও পদ্মা নামের দুই মহিলাকে বেশ কয়েকমাস ধরেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। দু’জনেরই বয়স পঞ্চাশের নীচে। তাঁরা রাস্তার ধারে স্টল দিয়ে লটারির টিকিট বিক্রি করতেন। গত জুন মাসে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান রোজেলিন। আর সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন পদ্মাও। এই আলৌকিক উপায়ে আর্থিক অবস্থা শুধরে যাবে বলে আশ্বাস দেন দম্পতির পরিচিত যুবক মহম্মদ শফি। খুন হওয়া দুই মহিলার মোবাইল টাওয়ারের লোকেশানের মাধ্যমে মহম্মদ শফি ধরে পড়ে যায়। পড়ে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে দুই অপহরণ ও খুনের কথা স্বীকার করে সে।
জানা গিয়েছে, দুই মহিলা নরবলির শিকার হয়েছেন। সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে, রাতারাতি বড়লোক হতে এই দু’জনকে বলি দিয়েছেন এক দম্পতি। প্রথমে দুই মহিলার গলা কেটে খুন করে সেই দম্পতি। এরপর তাঁদের দেহ একেবারে টুকরো টুকরো করে কেটে বস্তাবন্দি করে দু’টি আলাদা আলাদা জায়গায় পুঁতে দেওয়া হয়।
ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে সেই অভিযুক্ত দম্পতি। তাদের নাম ভগবন্ত সিং ও লাইলা। জানা গিয়েছে, এদের একটি ম্যাসাজ পার্লারও রয়েছে। পুলিশের কাছে জেরায় তারা খুনের অভিযোগ স্বীকার করেছে। একইসঙ্গে জেরায় তারা জানিয়েছে, তাদের বিশ্বাস ছিল নরবলি দিলে সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা আসবে। খুব শিগগিরই বড়লোক হয়ে যাবে।