নয়াদিল্লি, ২৩ জুন: জেলে থেকে ওজন কমছে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। স্বাস্থ্যেরও অবনতি হচ্ছে ক্রমশ। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবার আপের নিশানায় তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, তিন মাসের কারাবাসে কেজরিওয়ালের প্রায় ৮ কেজি ওজন কমেছে। আপের দাবি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর এত দ্রুত ওজনহ্রাস নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরাও।
গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতির অভিযোগে কেজরিওয়ালকে নিজেদের হেপাজতে নিয়েছিল ইডি। তার দু’ সপ্তাহ পর তাঁকে তিহাড় জেলে পাঠানো হয়। আপ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারির আগে তাঁর ওজন ছিল ৭০ কেজি। ২২ জুন সেই ওজন ৬২ কেজিতে দাঁড়িয়েছে। গত তিন মাসে কেজরির ওজন প্রায় আট কেজি কমেছে। দিল্লির শাসকদলের তরফে বলা হচ্ছে, কেজরিওয়ালের এক টানা ওজনহ্রাস যে উদ্বেগের, সেটা মানছেন চিকিৎসকরাও। তাঁরাও উদ্বিগ্ন।
আপের তরফে দাবি, ‘কেজরির শীঘ্রই শারীরিক পরীক্ষা করা দরকার। তাতেই এতটা ওজন হ্রাসের সঠিক কারণ বোঝা যাবে এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করা সম্ভব।’ তাদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার জন্যই অন্তর্র্বতী জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল। আর এক সপ্তাহ সময় পেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলি হয়ে যেত। এরপরই আপের তরফে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকে নিশানা করে দাবি করা হয়, চিকিৎসকরা কেজরিকে পরোটা, পুরী জাতীয় খাবার খাওয়াতে বলেছেন। কিন্তু সেই খাবার সময়মতো দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে। শুধু তাই নয়, তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষারও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই নিম্ন আদালত অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জামিন দিয়েছিল। কিন্তু শুক্রবারই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন আটকাতে ইডি তৎপর হয়ে ওঠে ও দ্বারস্থ হয় দিল্লি হাইকোর্টের। দিল্লি হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশ খারিজ করে দেওয়ায় জেল থেকে এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না কেজরিওয়াল।