নয়াদিল্লি, ৫ জুন: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অন্তর্র্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। দিল্লির রাইস অ্যাভিনিউ আদালতে সাতদিনের জন্য অন্তর্র্বতী জামিন চেয়েছিলেন অরবি¨, যা আদালত খারিজ করে দেয়। কেজরির শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পৃথক নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি। আপাতত তিহাড়ে জেলে বন্দি থাকতে হবে।
তাঁর অন্তর্র্বর্তী জামিনের আবেদনের মামলা উঠেছিল বিচারক কাবেরী বাবেজার বেঞ্চে। দিল্লির আদালতে কেজরির হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী বিবেক জৈন। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থায় উদ্বেগের কারণ রয়েছে। তাঁর উপযুক্ত চিকিৎসা প্রয়োজন। একইসঙ্গে আইনজীবী আরও জানান, গত ২ জুন কেজরি যখন আত্মসমর্পণ করেন, তিহাড় জেলে তিনটি যন্ত্রে তিন বার তাঁর ওজন মাপা হয়েছিল। তিন বারই পৃথক ওজন দেখা গিয়েছে। এই সমস্ত যুক্তি দিয়ে কেজরির অন্তর্র্বতী জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু আদালত আবেদন সায় দেয়নি। বিচারপতি জানিয়েছেন, শারীরিক সমস্যার জন্য কেজরিওয়াল আলাদা করে আবেদন জমা দিতে পারেন, তখন তা বিবেচনা করা হবে। পাশাপশি আদালতের তরফে আরও বলা হয়, অন্তর্র্বতীকালীন জামিন কেন চাইছেন এই বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে জানাতে হবে।
রবিবারই তিহাড় জেলে ফিরে গিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর তিনি জেলে যাওয়ার পরই কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন আপ নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, কেজরিওয়ালকে সেলে কুলার দেওয়া হয়নি। আবার তিনটি বিভিন্ন ওজন যন্ত্রে আলাদা আলাদা করে তাঁর ওজন মাপা হয়েছে। যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তিহাড় কর্তৃপক্ষের তরফে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা না দেওয়ায় দেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালীন যাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলে বসেই দিল্লির সরকারের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। কিছু দিন আগে লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য তাঁকে ২১ দিনের অন্তর্র্বতী জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। জেলের বাইরে বেরিয়ে আপের হয়ে প্রচারও করেছেন। জামিন শেষে ২ জুন আদালতের নির্দেশ মেনে আবার তিহাড় জেলে ফিরে যেতে হয় তাঁকে।