জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরদিনই কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি সোজা পৌঁছে গেলেন ডিএ-র দাবিতে যে ধরনা মঞ্চ তৈরি করেছেন সরকারি কর্মচারিরা সেখানেই। অর্থাৎ, বঙ্গ রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হয়ে উঠলেন কংগ্রেসের এই নেতা। গত ৩৮ দিন ধরে শহিদ মিনারে ধরনায় সরকারি কর্মীরা। ২০ দিন ধরে চলছে অনশন।সেই মঞ্চে রবিবার দুপুরে হাজির হয়ে কৌস্তভ বাগচি জানান, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যেকোনও আন্দোলন, সরকার বিরোধী যে কোনও আন্দোলন, আমি দলমত নির্বিশেষে উপস্থিত থাকব।’
এখানেই শেষ নয়, রাতের প্রতিজ্ঞার সুর এদিন ফের শোনা গেল কৌস্তভের গলায়। এদিনও তিনি বলেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উৎখাত করতে যা করার দরকার, যতদূর যাওয়ার দরকার আমি সব করব। কোনও কিছু বাদ দেব না।’ একইসঙ্গে তিনি সব আন্দোলনকারীকে আশ্বস্ত করে জানান, যতদিন না পর্যন্ত সরকারি কর্মীদের ডিএ-দাবি পূরণ হচ্ছে ততদিন তিনি আন্দোলনের সঙ্গে থাকবেন। উল্লেখ্য, শনিবার দিনভর টানাপোড়েনের পর রাতে জামিন পান কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি। জামিন পাওয়ার পরই আদালতের বাইরে চুল কেটে মাথা কামিয়ে শপথ নেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উৎখাত না করা পর্যন্ত তিনি মাথায় চুল রাখবেন না। কংগ্রেস নেতার এই প্রতিবাদী সত্ত্বার প্রশংসা করেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও। পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে দেখা যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও।
রবিবার শহিদ মিনারের ধরনা মঞ্চে ছুটির দিন হওয়ায় আন্দোলনে সমর্থনকারী সরকারি কর্মীদের সংখ্যা অন্যদিনের থেকে অনেক বেশি ছিল। দুপুরে মুণ্ডিত মস্তকে কংগ্রেসের একটি তিরঙা উত্তরীয় পাগড়ির মতো জড়িয়ে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ পৌঁছতেই তাঁকে সকলে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এত মানুষের ক্ষোভের কথা শুনে এবং তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখে ধরনা মঞ্চ থেকে আরও একবার আক্রমণ শানান কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ। বলেন, ‘আমাকে কারও চটি চেটে নেতা হতে হয়নি। এটা জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস যে তারা আমাকে গ্রহণ করেছে।‘