মোটা আইনের চাকরি ছেড়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মুর্শিদাবাদের কৌশিক

দুর্নীতি মামলায় অর্থের বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে যে ৬ এজেন্টকে শুক্রবার গ্রেপ্তার  করে সিবিআই তাঁদের মধ্যে অন্যতম কৌশিক ঘোষ। বাড়ি মুর্শিদাবাদের বড়ঞায়। এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিতি রয়েছে তাঁর। এই কৌশিকই আবার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার ঘনিষ্ঠ বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। শুধু বিধায়ক নয়। তৃণমূল নেতা জাকির হোসেনেরও কাছের লোক হিসাবেও  বঙ্গ রাজনীতি সহ স্থানীয়দের কাছে পরিচিত এই কৌশিক।

বর্তমানে শাহিদের পাশাপাশি সিবিআই হেপাজতে দিন কাটছে তাঁরও। এদিকে সিবিআই সূত্রে খবর, দিল্লিতে একটি পেট্রোলিয়াম সংস্থায় মোটা বেতনের চাকরি করত কৌশিক। তবে তা ছেড়ে দিয়ে চাকরির মিডলম্যান হিসাবে কাজ শুরু করেন।গ্রুপ-সি থেকে গ্রুপ-ডি, বিভিন্ন চাকরি বিক্রির ক্ষেত্রে মিডলম্যান হিসাবে কাজ করেছেন কৌশিক ঘোষ, এমনটাই দাবি সিবিআইয়ের তদন্তকরী আধিকারিকদের। ২০২১ সালে এলাকায় যখন তৃণমূলের তরফ থেকে প্রচার চলেছে সেখানে  বেশিরভাগ ফেস্টুন, পোস্টারে প্রচারক হিসাবে লেখা থাকতে দেখা যেত এই কৌশিক ঘোষের নাম। প্রতিবেশীদের বক্তব্য এলাকায় যথেষ্ট মেজাজ নিয়ে চলত কৌশিক। কেউ অন্য কোনও দল করলে সে নাকি মাটিতে পুঁতে দেওয়ার হুমকিও দিত।

স্থানীয় সূত্রে সিবিআই আধিকারিকদের কাছে এ খবরও পৌঁছেছে যে কৌশিকের অধীনে কাজ করত আরও অনেকে। অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে অযোগ্য প্রার্থীদের থেকে প্রচুর টাকা তুলেছিল কৌশিক। ঘরের অনেক লোককে চাকরি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর একাধিক আত্মীয়ের চাকরি সে নিজে হাতে করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। এলাকার বাসিন্দাদের আরও দাবি, এক এক সময় চাকরির জন্য কৌশিকের বাড়ির সামনে লাইন পর্যন্ত পড়ে যেত। এমনকী ওর নিজের গ্রামেরও ৪ থেকে ৫ জনের চাকরি বেআইনি ভাবে হয়েছিল বলে দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। এর পিছনেও কৌশিকেরই হাত রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। তবে তাঁর হাতে আসা টাকার ভাগ কোথায় কতদূর পৌঁছেছে সেই উত্তরই খুঁজছে সিবিআই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 8 =