কার্তিকের ক্লাস ইনিংস, ২৫ রানে হার আরসিবির

আরও একটা ম্যাচ, আরও একটা হার। রানের পাহাড়ের বিরুদ্ধে ক্লাস ইনিংস ‘বুড়ো’ দীনেশ কার্তিকের। তবে দলের হার আটকানোর জন্য যথেষ্ঠ ছিল না। আইপিএলে ইতিহাস গড়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেই ম্যাচে জেতা কার্যত অসম্ভব। তবে ২৮৭ রান তাড়া করে ২৫ রানে হার, প্রশংসনীয় লড়াই বলা যায়। কিন্তু টিম গেম হল কোথায়! বোলিংয়ে একঝাঁক পরিবর্তন। ব্যাটিংয়েও। ফলে কোনও পরিবর্তন হল না। কার্তিকের লড়াই প্রশংসনীয় হলেও আরসিবির নয়।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বরাবরই তারকা সমৃদ্ধ দল গড়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এ বারও ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু টিম গেম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ম্যাক্সওয়েলকে ছাড়াই একাদশ গড়া হয়। বোলিং আক্রমণ প্রতি ম্যাচেই হতাশ করছিল। এই ম্যাচে তাদের হাল আরও খারাপ করল সানরাইজার্স। আইপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ড গড়েছিল হায়দরাবাদ। অল্প সময়ের ব্যবধানে নিজেদের গড়া ২৭৭ রানের রেকর্ড ভেঙে ২৮৭ রান করল তারা।

বোর্ডে ২৮৮ রানের লক্ষ্য। একপেশে ম্যাচ হওয়ারও সম্ভাবনা ছিল। এ মরসুমে বহু ম্যাচই ক্লোজ হয়েছে। তবে রানের পাহাড়ের সামনে লড়াই দীর্ঘস্থায়ী হওয়া কঠিন। আরসিবির শুরুটা দুর্দান্ত হয়। ওপেনিং জুটিতে ৮০ রান যোগ করেন বিরাট কোহলি ও ফাফ ডুপ্লেসি। সানরাইজার্সের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার মায়াঙ্ক মার্কন্ডে বোল্ড করেন বিরাটকে। ২০ বলে ৪২ রানে আউট কোহলি। ফাফ ডুপ্লেসি মাত্র ২৮ বলে ৬২ রান। বিনা উইকেটে ৮০ রান থেকে দ্রুতই ১২২-৫ স্কোর দাঁড়ায় আরসিবির। এরপর যেন সময়ের অপেক্ষা ছিল।

অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেন দীনেশ কার্তিক। চাপের মুখে ৩৫ বলে ৮৩ রান! ১৯তম ওভারের শেষ বলে কার্তিক ফিরতেই ম্যাচ কার্যত সানরাইজার্সের পকেটে। কার্তিক ক্রিজে থাকা অবধিও ম্যাচে টিকে ছিল আরসিবি। শেষ অবধি ৭ উইকেটে ২৬২ রানে শেষ হয় আরসিবি ইনিংস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five − two =