সিবিআই-এর নতুন ডিরেক্টর হলেন কর্নাটক ডিজিপির দায়িত্বে থাকা প্রবীণ সুদ। রবিবার, ১৯৮৬-র ব্যাচের কর্নাটক ক্যাডারের আইপিএস অফিসার প্রবীণ সুদকে সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই-এর নয়া ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত করা হল। সূত্রে খবর, শনিবার রাতেই সিবিআই-এর নয়া ডিরেক্টর বাছাইয়ের জন্য বৈঠকে বসেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর কমিটি। এর আগে সিবিআই প্রধান পদে ছিলেন মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার সুবোধকুমার জয়সওয়াল। ২০২১ সালের ২৬ মে তিনি সিবিআই প্রধান পদে উন্নীত হন। এদিকে ২৫ মে তাঁর দুই বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাঁর মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে, নাকি নতুন কাউকে এই পদে নিয়োগ করা হবে, তা নির্ধারণ করতেই শনিবার রাতে বৈঠক করে বিশেষ কমিটি। এই বৈঠকের পরই প্রবীণ সুদকে সিবিআই ডিরেক্টর পদে নিয়োগ করা হয়। এতদিন পর্যন্ত প্রবীণ সুদ কর্নাটকের ডিজিপি পদে ছিলেন।
এদিকে সিবিআই-র নতুন প্রধান কে হবেন তা নিয়ে চলছিল এক বাছাই প্রক্রিয়া। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের প্রধান হিসাবে তিনজন আইপিএস অফিসারের নাম বাছাই করা হয়। এই তিনজনের তালিকায় রয়েছেন প্রবীণ সুদ, সুধীর সাক্সেনা ও তাজ হাসান। প্রবীণ সুদ কর্নাটকের ডিজিপি, অন্যদিকে সুধীর সাক্সেনা মধ্যপ্রদেশের ডিজিপি। তবে সিবিআই প্রধান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন কর্নাটকের ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ প্রবীণ সুদ-ই, সূত্রে এমনটাই খবর মিলছিল।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-র প্রধান বাছাই করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এই কমিটির সদস্য হন দেশের প্রধানমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা। কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলেই এই শীর্ষ কমিটির বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই তিন পুলিশ কর্তার নাম বাছাই করা হয়।
তবে এই প্রবীণ সুদকে ঘিরে একাধিক বিতর্কও রয়েছে। গত মার্চ মাসেই কর্নাটকের কংগ্রেস প্রধান ডিকে শিবকুমার রাজ্যের ডিজিপির বিরুদ্ধে বিজেপি সরকারকে বাঁচানোর অভিযোগ এনেছিলেন। ইচ্ছাকৃতভাবে কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার অভিযোগে ডিজিপির গ্রেপ্তারের দাবিও ওঠে।