কঙ্কালসার রাস্তা, শাসক-বিরোধী তরজা, আশ্বাস মহকুমা শাসকের

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের খোশবাগ থেকে পাত্রসায়ের ব্লকের বালসি পর্যন্ত ৭.৯ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক রয়েছে যার মধ্যে প্রায় অধিকাংশ রাস্তার অবস্থা বিগত দু’বছর ধরে বেহাল। রাস্তার ওপর জায়গায় জায়গায় তৈরি হয়েছে এক হাঁটু গর্ত, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় এলাকার সাধারণ মানুষ ßুñল কলেজের ছাত্রছাত্রী মুমূর্ষু রোগী প্রত্যেককেই।
এলাকার মানুষ জানাচ্ছেন, ইন্দাস ব্লকের মানুষজন এবং পাত্রসায়ের ব্লকের কিছু মানুষেকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে এবং বিষ্ণুপুর বাঁকুড়ায় দরকারি কাজে যাওয়ার শর্টকাট এটাই একমাত্র রাস্তা সেটাও বর্তমানে বেহাল। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গেলে জীবন হাতের মুঠোয় করে নিয়ে যেতে হয়, এমনকি মুমূর্ষু রোগী এই রাস্তা দিয়ে হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। বর্ষায় চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়ে। তবে ভোটের আগে রাজনৈতিক নেতারা বাড়ি বাড়ি এসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান, ভোট পেরিয়ে গেলেই তাঁরা বেপাত্তা, এমত পরিস্থিতিতে সমস্যায় এলাকার মানুষজন। কবে হবে এলাকার রাস্তা, কবে হবে তাদের সমস্যার সমাধান সেই অপেক্ষায় দিন গুনছে ইন্দাস পাত্রসায়েরের মানুষজন।
বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি দিব্যেন্দু ব¨্যােপাধ্যায় জানান, রাস্তাটি যে এলাকায় খারাপ সেই এলাকায় রয়েছে বিজেপি বিধায়ক রয়েছেন, বিজেপি সাংসদ তাঁরা এলাকায় কী করছেন? শুধুমাত্র ভোটের সময় তাঁদের দেখতে পাওয়া যায় মানুষের সমস্যার সমাধান করেন না। ওই এলাকায় একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, এমনকি এই রাস্তাটিও ইতিমধ্যেই ইন্দাস ব্লক থেকে প্রোপোজাল পাঠানো হয়েছে কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তা সংস্কার হবে।
তবে শাসকদলের এই বক্তব্যের পালটা বিষ্ণুপুর সংগঠনিক জেলা বিজেপির মুখপাত্র দেবপ্রিয় বিশ্বাস জানান, বিজেপি বিধায়ক সাংসদকে কাজ করতে দেয় না শাসকদল। এলাকায় পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত সমিতি জেলা পরিষদ রয়েছে তারা কী করছে? বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, ‘রাস্তার সমস্যা নিয়ে স্থানীয়দের থেকে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ইন্দাস ব্লকের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই এই রাস্তাটা পুনর্সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে কয়েক বছর আগে জেলা পরিষদ রাস্তাটি করেছিল। আবারো জেলা পরিষদে জানানো হয়েছে আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তা পুনর্সংস্কারের কাজ শুরু হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − thirteen =