কানঝাওয়ালা কাণ্ডে অপরাধীদের ফাঁসির দাবি কেজরিওয়ালের

নববর্ষের ভোরে এক ভয়ানক দৃশ্যের সাক্ষাী থাকলেন দিল্লিবাসী। চলমান এক গাড়ির চাকায় আটকে রয়েছে তরুণীর দেহ। সেই অবস্থাতে একই রাস্তা দিয়ে বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে গাড়ি! অথচ নির্বিকার পুলিশ।এবার এই ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির দাবি তুললেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রবিবার ভোরে দিল্লির এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসার পর এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরততম বলে ব্যাখ্যা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তাঁর ট্যুইট, ‘কানঝাওয়ালার ঘটনা লজ্জাজনক। আশা করি দোষীাদের কড়া সাজা হবে।’ এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, দিল্লির আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব কেন্দ্রের হাতে। রবিবার সকালের ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যেই কানঝাওয়ালা ঘটনায় দিল্লি পুলিশকে নোটিস পাঠিয়েছে দিল্লি মহিলা কমিশন।

এদিনের এই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরাজানান, চার-পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় বারবার ইউ-টার্ন নিতে দেখা গেছে ওই গাড়িটিকে। যে গাডিতে আটকে ছিল ওই তরুণীর দেহ। আর এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও সামনে এশেছে। এদিকে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, পুলিশকে জানানোর পরেও কেউ ওই গাড়িটিকে আটকায়নি।প্রায় ঘণ্টা দেড়েক বছর কুড়ির ওই তরুণীকে চাকায় আটকে  নিয়ে ঘুরে পরে দেহল ফেলে পালায় অভিযুক্তরা। ঘণ্টা খানেক সময়ের ব্যবধানে পরপর দু’টি ফোন পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশও।সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসার পর দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সোচ্চার সোশ্যাল মিডিয়াও।

 

দিল্লির কানঝাওয়ালা কাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি করেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। দিল্লির কানঝাওয়ালা রোডে লাদপুর গ্রামে একটি দোকান রয়েছে দীপকের। রবিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ নিজের দোকানের সামনে দুধের গাড়ির অপেক্ষা করছিলেন তিনি।তিনি জানান, তিনটে কুড়ি নাগাদ বিকট শব্দ শোনেন তিনি। এরপরেই দেখেন তরুণীকে ছেঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে একটি গাড়ি। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে ফোন করেও ঘটনা জানান তিনি। নিজের বাইক নিয়ে গাড়ির পিছু ধাওয়া করে বারবার পুলিশের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেন।বারবার বলার পরেও পুলিশ এগিয়ে আসেনি।

এদিকে দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার ভোর ৩.২৪ নাগাদ প্রথম ফোন আসে তাঁদের কাছে। গাড়িতে একটি তরুণীকে টেনে কুতুবগড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে পুলিশকে জানান এক ব্যক্তি।এরপরেই গাড়ির খোঁজ শুরু করা হয় বলে দাবি করে দিল্লি পুলিশ। তবে গাড়ির খোঁজ মেলেনি। কয়েক ঘণ্টা পর তরুণীর দেহ রাস্তায় পড়ে থাকার খবর পায় দিল্লি পুলিশ।তবে এখানে দিল্লি পুলিশের বয়ান নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।কারণ,  একই রাস্তায় ঘুরতে থাকা গাড়ির খোঁজ কেন মিলল না বা যেখানে গাড়ি একই রাস্তায় বারবার চক্কর খাচ্ছে তখন তাকে দিল্লি পুলিশ দুর্ঘটনা কেন বলছে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। অনেকেরই ধারনা, এটি কোনও দুর্ঘটনা নয় পরিকল্পনা করেই তরুণীর দেহ গাড়ির চাকায় ছেঁচড়ে নিয়ে গিয়েছে ধৃত পাঁচ যুবক।যদিও দিল্লি পুলিশ সে কথা বলেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − 7 =