ব্যারাকপুর:নির্মীয়মাণ একটি বেসরকারি স্কুলে বোমা মেরে গেটের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের অভিযোগ উঠল। স্কুলটি খড়দা বিধানসভার বন্দিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে। অভিযোগ, স্কুলের ভিতরে ঢুকে কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে দেয় তারা। ঘটনায় আতঙ্কিত স্কুলের কর্মীরা। তদন্ত শুরু করেছে রহড়া থানার পুলিশ।
বহুদিন ধরেই বন্দীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ‘সেন্ট্রাল পয়েন্ট’ নামে একটি বেসরকারি স্কুল নির্মাণের কাজ চলছে। স্থানীয়রা জানান, ইদানিং রাতের অন্ধকারে স্কুলের জমিতে মাটি ফেলা হচ্ছে। মাটি ফেলা নিয়ে হয়তো স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিবাদের জেরে এই ঘটনা, দাবি স্থানীয়দের। স্কুলের দেখভালের দ্বায়িত্বে থাকা গোপাল সাউ জানান, বুধবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ তিন গাড়ি মাটি গেলে গাড়ি বেরিয়ে যায়। মাটি নিয়ে চতুর্থ গাড়ি আসতেই একটা চার চাকা গাড়ি এসে গেটে দাঁড়ায়। গাড়ি থেকে দু’চার জন নেমে গালাগালি করে গেট খুলতে বলে। গেট না খোলায় ওরা চলে যায়। গোপাল বাবুর অভিযোগ, দশ মিনিট বাদে পায়ে হেঁটে এসে ১০-১২ জন যুবক স্কুলে হানা দেয়। প্রথমে ওরা স্কুল গেটের সামনে একটা বোমা মারে। তারপর গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে চারটে সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে দেয়। দুটো সিসিটিভি ক্যামেরা ওরা খুলে নিয়ে যায়। তাঁর দাবি, কিছুক্ষন ওরা হার্ড ডিক্স খোঁজাখুঁজি করে। সেটা না পেয়ে ওরা চলে যায়। খবর পেয়ে মাঝরাতেই স্কুলে আসে রহড়া থানার পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে বন্দীপুর পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান প্রসেনজিৎ সাহা জানান, শুনেছি মাটি ফেলা নিয়ে এলাকার ছেলেদের সঙ্গে স্কুলের লোকজনের ঝামেলা হয়েছিল। স্কুলের ভেতরে থাকা পুকুর রাতের অন্ধকারে মাটি ফেলে ভরাট করা নিয়ে গন্ডগোল হয়েছে। তবে বোমা মারার অভিযোগ ভিত্তিহীন। যদিও স্কুলের সিসিটিভি ক্যামেরায় হামলাকারীদের দৃশ্য ধরা পড়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রহড়া থানার পুলিশ।