নিজস্ব প্রতিবেদন, কালনা: কোন পাড়ায় তৈরি হবে ßুñল, তা নিয়ে গ্রামের দুই পাড়ার মধ্যে মনোমালিন্যের জেরে স্বাধীনতার আগে থেকেই ßুñল দু’ভাগে ভাগ হয়ে চলে কালনার বাদলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন। ßুñলে একসঙ্গে পড়াশোনা ও খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হত একঝাঁক খুদে পড়ুয়া। বহু জায়গায় চিঠি পাঠিয়েও কোনও ফল মেলেনি বলে দাবি। অবশেষে গ্রামের মানুষ ও প্রশাসনের উদ্যোগে এক ছাতার তলায় শুরু হয়েছে পড়াশোনা। খুশি ছাত্রছাত্রীরা। স্বাধীনতার বহু বছর পর অবশেষে দুই পাড়ার মানুষের সাহায্যে একই ছাতার তলায় আসে কালনা বাদলা প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে একই সঙ্গে মিলেমিশে পড়াশোনা করতে পেরে ভীষণ খুশি পড়ুয়ারা। শুধু তাই নয়, পড়াশোনার ফাঁকে বন্ধুদের সঙ্গে মজা করে মিড ডে মিলও খাওয়া হল আজ শনিবার থেকে।
প্রসঙ্গত, ইংরেজ শাসন চলাকালীন কালনার বাদলা গ্রামে একটি ßুñল গড়ার অনুমোদন আসে। কিন্তু এই গ্রামের কালীতলা ও গজলক্ষীতলা পাড়ার মানুষের দাবি ছিল নিজের পাড়ায় ßুñল তৈরি হোক। তবে একটি ßুñল দুটি পাড়ায় কি করে তৈরি হয়? গ্রামের দুই পাড়ার মানুষদের মনোমালিন্যের কারণে ১৯৪০ সালে কালীতলা পাড়ায় তৈরি হয় বাদলা প্রাথমিক বিদ্যালয়। গ্রামের ২টি পাড়ার মানুষের মধ্যে এমনই মনোমালিন্য হয় যে তার প্রভাব পড়ে কচিকাঁচাদের মধ্যে, গজলক্ষী পাড়ার মানুষ এই পাড়ায় ßুñলে নিজের ছেলেমেয়েদের পাঠাতে রাজি হয়নি।
ছোটদের জীবনে শিক্ষা আনার জন্য এই ßুñল ২ ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়। দুই পাড়ায় চলে পঠনপাঠন। একই ßুñলে পড়েও শৈশব জীবনে বন্ধুদের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যায়। দুই ßুñলকে একই ছাতার তলায় আনতে গ্রামের কিছু মানুষ ও শিক্ষক-শিক্ষিকা এমনকি প্রশাসন বারবার এই বিষয়ে চিঠি পাঠিয়ে কোনও ফল পাননি বলে দাবি।