পাহাড়ের কোলে নতুন ভালোবাসার ঠিকানা কাফেরগাঁও

গরম চায়ে চুমুক দিয়ে পাহাড়ের ঘুম ভাঙা দেখতে চান?  প্রত্যক্ষ করতে চান ভোরের আলো কেমন প্রকৃতির ক্যানভাস বদলে দেয়, সেই ছবি? কম্বল মুড়ি দিয়ে সঙ্গীনির কাঁধে মাখা রেখে চুপ করে শুধু মনের মধ্যে লিপিবদ্ধ করে রাখতে চান অপরিসীম ভালোলাগা? তাহলে আপনি গন্তব্য হিসেবে বেছে নিতে পারেন উত্তরবঙ্গের এক অফবিট পাহাড়ি গ্রামকে। যার নাম কাফের গাঁও।

এ এক বড় সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম। যেখানে কখনও রোদ, কখনও মেঘ। নির্জনতায় ঘেরা এই গ্রামে চাইলে আপনি শুনে ফেলতে পারেন গাছেদের গল্পও। শিশির যখন টুপ করে ঝরে পড়ে গাছের পাতা থেকে, পাখিরা গেয়ে ওঠে গান, হিমেল হাওয়া যখন ছুঁয়ে যায় মন, তখন প্রিয়তম মানুষটির হাতে হাত ধরে কোনওকিছু না বলেও, পরম প্রাপ্তিতে ভেসে যেতে পারেন আপনি।

পাহাড়ি শহর কালিম্পং থেকে কাফেরগাঁও খুব বেশি দূর নয়।তবে এ গ্রামে এখনও শহুরে জীবনযাপনের সুবিধে মেলে না পুরোপুরি। এই গ্রাম এখনও কোলাহলের থেকে দূরে। ফুলে ঢাকা, পাইনের সারিতে ঘেরা কাফের গাঁওয়ের অন্যতম ইউএসপি অবশ্যই, ভোরের নির্মল আকাশে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা।

ফুলের নামে এই গ্রামের নাম কাফেরগাঁও। লেপচা শব্দ কাফের মানে এক ধরনের ফুল। স্থানীয়রা এমনটাই বলেন।

কী দেখবেন- দেখার জন্য প্রকৃতি নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে। চারপাশে অনুপম সৌন্দর্য।কালিম্পং থেকে কাফেরগাঁও-এর দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। লোলেগাঁও থেকে খুব কাছে। এখান থেকেই লাভা রিশপ ঝাণ্ডিদারা ঘুরে আসতে পারেন।চারখোল কাছে। সেখানেও ঘুরে আসতে পারেন।

থাকার জায়গা- কাফেরগাঁও ইদানীং উত্তরবঙ্গ অফবিট ডেস্টিনেশন হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখানে দার্জিলিং, কালিম্পং, লাভার মতো অতটা ভিড় নেই। এখানে রয়েছে একাধিক হোম স্টে।

 

কীভাবে আসেবন-এনজেপি থেকে এখানকার দূরত্ব প্রায় ১২৫ কিমি। এনজেপি স্টেশন, বাগডোগরা, দার্জিলিং মোড় বা তেনজিং নরগে বাসস্ট্যান্ডের সামনে থেকে গাড়ি পেয়ে যাবেন। সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে চলে আসতে পারেন কাফেরগাঁও। শেয়ার গাড়িতে কালিম্পং এসে, গাড়ি ভাড়া করে কাফের গাঁও আসতে পারেন। আবার সরাসরি এনজেপি থেকে কাফেরগাঁও গাড়ি রিজার্ভ করে আসতে পারেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × five =