রেশন দুর্নীতির জাল কীভাবে ছড়িয়েছে? কীভাবে কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে, তারই তদন্তে ইডির নজর ছিল গ্রেপ্তার হওয়া মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাঙ্কের লকারে। সেখান থেকে বিপুল সম্পত্তির হদিশ অথবা গুরুত্বপূর্ণ নথি মিলতে পারে বলে আশা ছিল ইডির।
তবে এ যাত্রায় হতাশই হলেন তদন্তকারীরা।। ব্যাঙ্কের লকারে খোঁজ করতেই ইডি দেখে, সেখানে অতিরিক্ত গয়না নেই। ইডির দাবি, বেগতিক বুঝেই লকার থেকে হয়ত সরিয়ে ফেলা হয়েছে গয়না। সূত্রের খবর, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী মণিদীপা মল্লিক ও কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিকের নামে দু’টি লকারের চাবি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। দু’টি লকার সল্টলেকের।
ইডি সূত্রে খবর, বিপুল পরিমাণে নামে ও বেনামে সম্পত্তি রয়েছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জোত্যিপ্রিয় মল্লিকের। তদন্তে ইডির হাতে আসা তথ্য থেকে মনে করা হচ্ছে, বাকিবুরের ২০ কোটি ২৪ লক্ষ ১৬ হাজার১৯৪ টাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের তিনটি শেল কোম্পানির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হয়। সেই টাকা বাঁকুড়ার দু’টি কোম্পানি বা ফার্মে যায়। এই দু’টি কোম্পানি পার্টনারশিপে ছিল সিপি জেনা। জ্যোতিপ্রিয়র সিএ শান্তনু ভট্টাচার্য কোম্পানির বিষয়টি দেখতেন।
বাঁশদ্রোণী ও রানিকুঠিতে দু’জনের বাড়িতে সাম্প্রতি ইডি অভিযান চালায়। এই দুই কোম্পানিতে ডামি পার্টনার ছিল। বাস্তবে এই দুই ফার্মে কোনও ব্যবসা আদতে করা হত না। ইডি সূত্রে খবর, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ৬.০৩ কোটি টাকা এবং মেয়ের অ্যাকাউন্টে ৩.৭৯ কোটি টাকা ঢুকেছিল। ২০১৬ সালে স্ত্রী অ্যাকাউন্টে ও ২০১৭ সালে মেয়ের অ্যাকাউন্টে ঢোকে ওই বিপুল টাকা।