এজলাসে দীর্ঘ শুনানি করার সময় নেই। অন্য যে কোনও কোর্ট যে কোনও মামলা থেকে সরে দাঁড়ালে এই কোর্টেই কেন মামলা দেওয়া হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে শুভেন্দু অধিকারীর দুটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। পাশাপাশি এও বলেন, এখন ৫৩ জন বিচারপতি রয়েছেন। যে কোনও কোর্ট এই মামলা শুনতে পারে। এদিকে এই মামলাগুলির দ্রুত শুনানি হচ্ছে না বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল রাজ্য। যদিও এই প্রসঙ্গে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টকে দ্রুত মামলা শুনানির পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপরই বৃহস্পতিবার মামলার শুরুতেই শুভেন্দু মামলা নিয়ে এমনটাই বলতে শোনা যায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে।
মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলতে গিয়ে রাজাশেখর মান্থা এদিন এও বলেন, রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে এমনভাবে আবেদন করেছে যাতে মনে হচ্ছে আবেদনকারীর জন্য শুনানিতে দেরি হচ্ছে। কিন্তু, কোর্ট দেখছে, কোনও পক্ষই এই মামলার দ্রুত শুনানি করতে আগ্রহী নয়। তাই এই মামলা থেকে সরে দাঁড়াল আদালত। উল্লেখ্য, এই মামলা থেকে আগে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বিচারপতি পার্থ সারথি সেন। সেই সময় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মামলাগুলি পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে।
প্রসঙ্গত, হেনস্থার অভিযোগে দুটি পৃথক মামলা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুটি ক্ষেত্রেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের অনুমতি ছাড়া নতুন কোনও এফআইআর করা যাবে না এবং তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলাগুলিতে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না বলে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয় আদালত। চূড়ান্ত শুনানির আগেই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি।