পর্ষদের তরফ থেকে অ্যাপ্টিটিউড টেস্টের যে ভিডিও দেওয়া হয়েছে তার গ্রাফিক কন্টেন্ট স্পষ্ট নয়। তাই মামলাকারীর সামনে ফের ভিডিয়ো দেখতে চায় আদালত। আদালত সূত্রে খবর, আমনা পারভিনের দায়ের করা মামলায় শুক্রবার পেন ড্রাইভ জমা দেয় পর্ষদ। এরপর সেই ভিডিয়ো চালিয়ে দেখেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ভিডিয়ো দেখার পর বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, প্রচুর শব্দের কারণে প্রশ্ন কী বা উত্তর কোনটা তা বোঝা সম্ভব হচ্ছে না। প্রশ্ন যা দেওয়া হয়েছে কেন সেগুলি দেওয়া হয়েছে সেটাও স্পষ্ট নয়। মামলাকারী কী লিখলেন সেটাও অস্পষ্ট। এরপরই মামলাকারীকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টোয় আদালতেআসতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কারণ, তাঁর সামনেই দেখা হবে ওই ভিডিয়ো। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেট প্রার্থী ছিলেন আমনা পারভিন। টেটে পাশ করেননি তিনি। এরপরই আরটিআই করেন। পরে জানতে পারেন, তিনি যে বছর পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাতে ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল। এদিকে ভুল প্রশ্নের জন্য পর্ষদ সকলকে নম্বর দেওয়ায় আমনার পাশ নম্বর উঠে যায়। ফলে টেট উত্তীর্ণ হিসাবেই পরিগণিত হন এরপর। আমনার প্রাপ্ত নম্বর ৮২ হয়। তবে টেট পাশ করেও চাকরি না পেয়ে হাইকোর্টে যান তিনি। এরপরই আদালতের তরফ থেকে বলা হয়, ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার আওতায় এনে আমনা পারভিনের ইন্টারভিউ নিতে হবে পর্ষদকে। সঙ্গে অ্যাপ্টিটিউড টেস্টও। গত ১৭ জুলাই এই নির্দেশ দেয় কোর্ট। সেখানেই গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফিরও কথা বলা হয় আদালতের তরফে। এরপরও পর্ষদ আদালতে জানায়, ইন্টারভিউ ও অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে আমনা কৃতকার্য হননি। ফের আদালতে আসে গোটা বিষয়টি। ভিডিয়োগ্রাফির ফুটেজ দেখতে চান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।