পড়াশুনার হাল হকিকৎ খতিয়ে দেখতে ওয়েবাসাইটে তথ্য আপলোডের নির্দেশ বিচারপতি বসুর

রাজ্য সরকারকে বিচারপতির বিশ্বজিৎ বসুর স্পষ্ট নির্দেশ, ‘নতুন তৈরি অ্যাপের সঙ্গেই কম্পিউটার মাধ্যমে ওয়েবসাইটে ওই সব তথ্য আপলোড করার ব্যবস্থা করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখতে হবে। এটা যাতে সম্ভব হয়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে।’ একইসঙ্গে এ নির্দেশও দেন, আগামী শুনানিতে এই ব্যাপারে রাজ্যকে অবস্থান জানাতে হবে আদালতে। রাজ্যে সমগ্র শিক্ষা মিশন প্রকল্পের তথ্য নতুন চালু হওয়া অ্যাপের মাধ্যমে আপলোড করা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার এমনই এক নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

এদিকে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর সমগ্র শিক্ষা মিশনের আওতায় ‘বাংলার শিক্ষা’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত কিশোর-কিশোরীদের পড়াশোনার হালহকিকত খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পার্শ্বশিক্ষকদের। এই সব তথ্য সংগ্রহ করে সরকারের কাছে জমা দিতে হয় ওই শিক্ষকদের। নৈহাটির বাসিন্দা মামলাকারী দীপ্তাংশু বিশ্বনাথ দাসের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তের দাবি, আগে এই সব তথ্য অফলাইনে জমার ব্যবস্থা ছিল। গত বছর থেকে তা চাইল্ড রেজিস্টার অ্যাপের মাধ্যমে করতে হয়। মামলাকারী কয়েক বছর ধরে এই কাজ করছিলেন অফলাইনে। ১২ হাজার টাকা বেতন পান। তাই দিয়ে তাঁর পক্ষে স্মার্ট ফোন কেনা সম্ভব নয়। তা ছাড়া ৫১ বছর বয়সে এখন নতুন করে আবার স্মার্ট ফোন ব্যবহার করাও কঠিন। ফলে ফোন না থাকার কারণে এই কাজ করা যাচ্ছে না। আইনজীবীর এই যুক্তি শুনে বিচারপতি বসুর প্রশ্ন, ‘অনেক প্রকল্পই তো আছে। এ বার কি তা হলে দুয়ারে মোবাইল প্রকল্প নিয়ে আসতে বলব সরকারকে?’ একইসঙ্গে বিচারপতির সংযোজন, সময়ের সঙ্গে নিজেকে উন্নীত করা সবারই প্রয়োজন। তবে যাই হোক, রাজ্যকে বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হবে। এমন সমস্যায় অনেক শিক্ষকই পড়তে পারেন। কী পদক্ষেপ করা যায়, আগামী শুনানিতে রাজ্যকে জানাতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three + one =