‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলে কি যা ইচ্ছা করা যায়? জমিদারি নাকি?’ বৃহস্পতিবার ঠিক এই ভাষাতেই শীর্ষ আদালতের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কলকাতা হাইকোর্টর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কারণ, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর গত ২ মার্চ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দুই সংস্থা সিবিআই-ইডির যৌথ তদন্তের যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছিল, তার উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের পরই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, ‘স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিলই হল না। শুধুমাত্র ডায়েরি নম্বরের ভিত্তিতে তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়ে দেওয়া হল।’
তবে শীর্ষ আদালতের রায়ে আইনজীবী মুকুল রোহাতগির একটি প্রশ্ন প্রভাব ফেলেছে বলেই ধারনা আইনজ্ঞদের একাংশের। কারণ, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের এসএসসি নবম দশম শ্রেণির শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় আবেদনকারীদের আইনজীবী মুকুল রোহাতগি প্রশ্ন তোলেন, কারও বক্তব্য না শুনে কীভাবে পাঁচ হাজার লোকের চাকরি খারিজ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তা নিয়েই। আদালত সূত্রে খবর, এরপর শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে শিক্ষা সংক্রান্ত একটি মামলা চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীর মন্তব্যের প্রসঙ্গ ওঠে।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্ট থেকে ২০২০ সালের প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে ইডি-সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাটি ২০১৪ সালের টেটে পরীক্ষার। ২০১৪ সালের টেটের ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালে নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাযথ নিয়ম মেনে হয়েছিল কি না, সেটিই খতিয়ে দেখার জন্য ইডি ও সিবিআইকে নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। কিন্তু ইডি-সিবিআই এই তদন্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর বেঞ্চ।