ইস্টার্ন কোলফিল্ডের চেয়ারম্যান তথা জেনারেল ম্যানেজারকে ১০ দিনের মধ্যে ৬ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ইস্টার্ন কোলফিল্ডের অধীনে থাকা স্কুলগুলির শিক্ষক-শিক্ষিকারা টাকা না পাওয়ায় অভিযোগ সামনে আসে। আর এই অভিযোগেই কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে দায়ের হয় মামলা। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি।এরপরই ইস্টার্ন কোলফিল্ডের নিয়ন্ত্রণে থাকা স্কুলগুলির শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের কতজনের বেতন বকেয়া রয়েছে ও মোট কত টাকা বকেয়া আছে, তার তালিকা দুদিনের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।এদিকে সূত্রে খবর, ইস্টার্ন কোলফিল্ডের অধীনে ঝাড়খণ্ডের মোট ৯টি ও পশ্চিমবঙ্গের ৭টি স্কুল আছে। এই সব স্কুলে বিএড ডিগ্রি প্রাপ্ত শিক্ষক, শিক্ষিকারা মাসে ৭০০০ টাকা করে বেতন পান, স্নাতক শিক্ষক-শিক্ষিকার মাসে ৫৫০০ টাকা এবং তার কম শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকরা মাসে ৫০০০ টাকা করে বেতন পান বলেই জানা গেছে।
এদিকে অভিযোগ, নিজেদের খেয়াল খুশি মতো বেতন দিচ্ছে ইসিএল। একইসঙ্গে ইসিএল-এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগও উঠেছে যে স্কুলগুলির কোনও উন্নয়ন করা হচ্ছে না। পাশাপাশি এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে যে, স্কুলগুলি বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে সংস্থা। এই অভিযোগ নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হন ৪৪ জন শিক্ষক শিক্ষিকা। তখনই সামনে আসে এক বছরের ওপর বেতন বন্ধ। শুনানির পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন জানান, ‘ইসিএল না চালাতে পারলে, রাজ্যের হাতে স্কুলগুলি দিয়ে দিন।’ সেই সঙ্গে অবিলম্বে ৬ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। উল্লেখ্য, এ রাজ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলা হয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। এখনও বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন। তবে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মাত্র দুটি মামলা সরানো হয়েছে তাঁর বেঞ্চ থেকে।