আদালতের নির্দেশে প্রায় ১০ বছর পর স্কুলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা আমনা পারভিনের। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি পেতে চলেছেন আমনা। কলকাতা হাইকোর্টর নির্দেশে, ২০২০-র নিয়োগ প্রক্রিয়ার আওতায় মামলাকারীর ইন্টারভিউ নিতে হবে। এর পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার জন্য বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশও দেয় আদালত। জরিমানার ১০ হাজার টাকা দিতে হবে ওই চাকরিপ্রার্থীকে এবং বাকি ৪০ হাজার টাকা আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট পাশ করতে না পেরে আরটিআই করেন মামলাকারী। তখনই পরীক্ষায় আসা ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে তিনি জানতে পারেন। মামলা দায়ের হলে, আদালত নির্দেশ দেয় ৬ নম্বর দিতে হবে মামলাকারীকে। এদিকে প্রাথমিক টেটে ৮২ নম্বর পেয়েছিলেন আমনা। পাশ মার্ক থাকা সত্ত্বেও চাকরি না পেয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই মামলাতেই বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর এই নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক নজিরবিহীন রায় দিতে দেখা গেছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর রায়ের কারণে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত অনেক প্রভাবশালী এখন জেলে। এদিকে সম্প্রতি ২০১৬ সালের প্রাথমিক টেটে চাকরিপ্রাপ্ত ৩২ হাজার প্রার্থীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্চ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্য। তবে ডিভিশন বেঞ্চ এখনও সেই মামলার নিষ্পত্তি করেনি। এদিকে আবার সম্প্রতি ৭১ জন প্রার্থীকে দু’মাসের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এক দশকের বেশি লড়াই করে শেষমেশ আদালতের রায়ে জয় হয় প্রার্থীদের।