বিচারপতির ভর্তসনা পর্ষদকে, বাড়ল ডিএলএডে ভর্তিতে স্থগিতাদেশের মেয়াদ

কলকাতা : ডিএলএড কোর্সে ভর্তির প্রক্রিয়ায় আগেই সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার এই মামলায় বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়ব পর্ষদ।বাড়ল নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়ার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ । আগামী ১৯ শে জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল স্থগিতাদেশের মেয়াদ। ওইদিন পর্যন্ত কোন আবেদন পত্র গ্রহণ করতে পারবে না পর্ষদ।’ পিছনের দরজা দিয়ে ভর্তি নিচ্ছেন? এনসিটিই-র গাইডলাইন অমান্য করেন কীভাবে?’  এদিন প্রাথিমক শিক্ষা পর্ষদকে প্রশ্ন করে উষ্মা প্রকাশ করেন হাই কোর্টের বিচারপতি।

প্রাথিমক শিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, নতুন শিক্ষাবর্ষের ডিএলএড কোর্সে ফের ভর্তি নেওয়া হবে। ২ থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা নির্দিষ্ট করা হয়। এর প্রেক্ষিতে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। এই মামলায় আগেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

২০২২ সালে শুরু হওয়া ডিএলএড কোর্স ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা। এনসিইআরটি-র গাইডলাইন বলছে, এই কোর্সের জন্য মোট ২০০টি কর্মদিবস প্রয়োজন। অথচ গত ২৮ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করে নতুন শিক্ষাবর্ষে ভরতির জন্য আবেদন করতে বলা হয়। আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে জানুয়ারি মাস থেকে। অভিযোগ, শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়ার আগেই নতুন ছাত্র ভর্তির আবেদন কীভাবে নেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভরতির জন্য ৩ হাজার টাকা নেওয়া হবে। অথচ সরকারি নিয়ম বলছে, ভরতির জন্য ৩০০ টাকা নেওয়ার কথা। উপজাতিদের ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা প্রয়োজন।

কেন অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে, এসব নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়। এর প্রেক্ষিতেই এদিন ভরতি সাময়িক স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।এদিন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি পর্ষদের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, “পিছনের দরজা দিয়ে ভরতি নিচ্ছেন? এনসিটিই-র গাইডলাইন অমান্য করেন কীভাবে?” কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আপাতত স্থগিত রাখতে হবে ভরতি প্রক্রিয়া।উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ডিএলএড কলেজের ভরতিতে গরমিলের বিষয়টি উঠে এসেছিল। জানা গিয়েছিল, কলেজে ভরতি হওয়া পড়ুয়াদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হত। যা যেত নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক সাহার ছেলের কাছে। এবার ফের সেই কোর্সে ভরতির নিয়মে গরমিলের অভিযোগ তুলে মামলা হয়েছে হাই কোর্টে। এবার সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও বাড়ল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − nine =