হার দিয়ে অভিযান শুরু হয়েছিল। এ বার জয়ের হ্যাটট্রিক। গত দু-ম্যাচে লখনউয়ের জয়ের প্রধান কারণ ছিল এক্সপ্রেস গতির বোলিং। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে স্পিন এবং মিডিয়াম পেসেই বাজিমাত। সঙ্গে অনবদ্য ফিল্ডিং। মিডিয়াম পেসার যশ ঠাকুর ৫ উইকেট নেন। ঘরের মাঠে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়। এই ম্যাচ এতটা একপেশে হবে, তা হয়তো কেউই প্রত্যাশা করেননি।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। টস হারেও হতাশ হননি গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক শুভমন গিল। বরং, তিনি যেন খুশিই হয়েছিলেন। পরিষ্কার জানিয়েছিলেন, টস জিতলে রান তাড়ারই সিদ্ধান্ত নিতেন। তাঁর ব্যাটিং বিভাগ অবশ্য ভরসা দিতে ব্যর্থ। বোলাররা ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করছে টাইটান্সের। এই ম্যাচে নতুন রূপে পাওয়া গেল উমেশ যাদবকে।
মহম্মদ সামির অনুপস্থিতি বাকিরা ভালো ভাবেই সামলে দিয়েছেন। আজমতুল্লা ওমরজাই একাদশে থাকলে তাঁকে দিয়েই হয়তো পাওয়ার প্লে-তে টানা তিন ওভার করানো হত। এই ম্যাচে ছিলেন না ওমরজাই। উমেশ যাদব টানা তিন ওভারের স্পেল করেন। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। মার্কাস স্টইনিস, লোকেশ রাহুল, নিকোলাস পুরানের সৌজন্যে গুজরাট টাইটান্সকে ১৬৪ রানের টার্গেট দিয়েছিল লখনউ। এই রান তাড়া করে জেতা খুব ভালো ভাবেই সম্ভব।
চোটের কারণে ঋদ্ধিমান সাহা না থাকায় শুভমনের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করেন সাই সুদর্শন। জুটিতে ৫৪ রান যোগ করে তারা। যশ ঠাকুরের ইয়র্কারে শুভমনের উইকেট ছিটকে যায়। এরপর দুই স্পিনার ত্রু«নাল পান্ডিয়া ও রবি বিষ্ণোইয়ের দাপট। উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি রান আটকানোর ক্ষেত্রেও দুর্দান্ত। এক সময় মনে হচ্ছিল ১১০ রানের মধ্যেই না টাইটান্সের ইনিংস শেষ হয়ে যায়। শেষ দিকে রাহুল তেওয়াটিয়া হারের ব্যবধান কমান। ১৮.৫ ওভারে ১৩০ রানেই অলআউট গুজরাট টাইটান্স।