১৪৪ ধারা ভেঙে ভাঙড়ে সভা জমি জীবিকা কমিটির

হাতিশালাকাণ্ডের পর সমগ্র ভাঙড় জুড়ে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। যে কারণে শাসকদল সহ বিরোধীরা ভাঙড়ে মিটিং মিছিল বন্ধ করতে পারেননি। তবে মঙ্গলবার প্রশাসনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গায়ের জোরে জনসভা করল ভাঙড়ের জমি জীবিকা কমিটি। রীতিমতো বাস রাস্তা বন্ধ করে প্রায় দু ঘণ্টা ধরে এই জনসভা হয় বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। যার জেরে নাজেহাল হন অফিস ফেরত যাত্রীদের। তবে এদিন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে স্কুল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হয়নি স্কুল পড়ুয়াদের। ভাঙড়ের কাশীপুর থানার পোলেরহাট সব্জি বাজারের কাছে লাউহাটি-ভাঙড় ৯১ নম্বর বাসরুট বন্ধ করে দিয়ে এই জনসভা করে জমি কমিটি। গোটা ঘটনায় কাশীপুর থানার পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা এদিন অভিযোগও জানান, সভা থেকে বেশ খানিকটা দূরে পুলিশ ভ্যান ‘কাঠের পুতুলের’ মত দাঁড়িয়ে ছিলেন। সভায় বাধা দেওয়া বা যানজট নিয়ন্ত্রণে তাঁদের কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি।

এদিনের সভা থেকে জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সম্পাদক মির্জা হাসান হুমকির সুরে বার্তা দেন, ‘বারবার ১৪৪ ধারা ভাঙব, প্রয়োজনে থানা ঘেরাও করবো, বিডিও অফিস ঘেরাও করবো।’ এরই পাশাপাশি এদিন মূলত বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি সহ আইএসএফ কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এবং আরাবুল ইসলাম সহ সমস্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবি ওঠে এদিনের এই জনসমাবেশ থেকে। প্রসঙ্গত, এর আগেও প্রশাসন আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে শান্তি মিছিল, নওশাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সিপিএমের প্রতিবাদ মিছিল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। কিন্তু তারপরেও এদিন কিভাবে রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে জনসভা করল জমি কমিটি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শাসকদল। উল্লেখ্য, কলকাতার ধর্মতলায় আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠা দিবসের জন্য অশান্তির অভিযোগে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে  গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এদিকে বর্তমানে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক। এদিন ওই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন জমি কমিটির মুখপাত্র তথা সিপিআইএমএল রাজ্য কমিটির সম্পাদক অলীক চক্রবর্তী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কুশল দেবনাথ, জমি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − seven =