গ্রেপ্তারির পর এবার জীবনকৃষ্ণের কার্যালয় ভাঙার নির্দেশ বহাল কলকাতা হাইকোর্টের

গ্রেপ্তারির পর ফের ধাক্কার মুখে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। এবার বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা পার্টি অফিস তথা বিধায়ক কার্যালয় রাজ্য পূর্ত দপ্তরের কোপের মুখে। সরকারি জমি দখল করে গজিয়ে ওঠা নির্মাণ ভেঙে ফেলায় পূর্ত দপ্তরের কোনও বাধা নেই। সোমবার এমনই নির্দেশ দেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকের আফ্রিকা মোড় সংলগ্ন এলাকায় ২০২১ সালে সরকারি জমি দখল করে তৈরি করা হয় এই পার্টি অফিস। এই ভবনটি বিধায়কের কার্যালয় তথা স্থানীয়দের কাছে তৃণমূল ভবন নামেই পরিচিত ছিল। এদিকে এই ভবনটি নির্মাণ হওয়ার পরেই স্থানীয় এক বাসিন্দা এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে দাবি করেন, সরকারি জমির উপর এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। গত বছর ডিসেম্বরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের নির্দেশ মতোই ভবনটি ভাঙার প্রস্তুতি শুরু হয়। তবে এই ভবনটি ভাঙতে গিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে বাধার মুখেও পড়তে হয়।
এই ঘটনার পর সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় স্থানীয়দের একাংশ। সেই মামলাতেই সোমবার বিচারপতি চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ সেখানকার অন্য কয়েকটি প্লটের বিতর্কিত নির্মাণ ভাঙার ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দিলেও জীবনের পার্টি অফিস ভাঙার বিষয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়-ই বহাল রাখে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গত ১৭ এপ্রিল প্রায় ৬৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। বিধায়কের বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণ নথিও উদ্ধার হয়েছিল বলে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর। সেই নথি থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলেও সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এও দাবি করা হয়, সরাসরি নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত জীবন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × three =