ডিআরএমের স্ত্রীকে জুতো খুলতে বলার ‘শাস্তি’! অর্ধনগ্ন করে পাঠানো হল হাসপাতাল কর্মীকে

অপরাধ ডিআরএমের স্ত্রীকে জুতো খুলে ডাক্তারবাবুর চেম্বারে ঢুকতে বলা। হাসপাতালকর্মীর ‘আস্পর্ধা’ দেখে ‘উচিত শিক্ষা’ দিলেন ডিআরএম।অভিযোগ, শাস্তি হিসাবে অর্ধনগ্ন অবস্থায় তাঁকে ফিরতে হল বাড়ি।ঘটনার আকস্মিকতায় মুষড়ে পড়েছেন ওই কর্মী। মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে খবর।ঘটনাটি ধানবাদের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে রেলের উচ্চ পদস্থ এক আধিকারিক। তিনি জানিয়েছেন বিভাগীয় রেলওয়ে আধিকারিক (ডিআরএম) এমনটা করেননি।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ, রেলের ওই হাসপাতালের কর্মীর নাম বসন্ত উপাধ্যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে রুটিন চেক-আপের জন্য এসেছিলেন ধানবাদের ডিভিশনাল রেল ম্যানেজারের স্ত্রী। তাঁর পায়ে জুতো দেখে হাসপাতালকর্মী বাকিদের মতো তাঁকেও বলেন জুতো খুলে ডাক্তারবাবুর চেম্বারে যেতে। সেকথায় কোনও পাত্তাই দেননি ডিআরএমের স্ত্রী। যদিও চিকিত্সকের নির্দেশই পালন করেছিলেন তিনি। ডাক্তারবাবু চাইতেন তাঁর চেম্বারে সকলেই জুতো খুলে আসবেন। এর পর বিকেলে বসন্তের খোঁজ নেন ডিআরএম। হাসপাতালের সুপারিন্টেনডেন্টকে ডিআরএম জানান, ওই কর্মীকে নিয়ে তাঁর কাছে যেতে। সেটাই বোধহয় ‘ অপরাধ’ ছিল।

ডাক পড়ে হাসপাতাল কর্মীর। অভিযোগ, ডিআরএমের চেম্বারে গেলে হাসপাতালের ওই কর্মীকে বকাঝকা করা হয়। বসন্ত বলতে চান, তিনি শুধু নির্দেশ পালন করেছিলেন। এতে নাকি আরও রেগে যান ওই ডিআরএম। ওই কর্মীকে নির্দেশ দেওয়া হয় পরনের জামাকাপড় খুলে ফেলতে হবে। এর পর অর্ধনগ্ন অবস্থায় তাঁকে বাড়ি পাঠানো হয়। শুক্রবার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে।

সহকর্মীরা জানান, ওই ঘটনার পরে মানসিক ভাবে এতটাই আঘাত পেয়েছেন বসন্ত, যে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ডিভিশনাল রেলওয়ে হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে তাঁকে অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে।

অন্য দিকে, অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রেলের ডিসিএম অমরীশ কুমার। তিনি জানান, ডিআরএমের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের এক গ্রুপ ডি কর্মী দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মহিলা কল্যাণ সংগঠনের সভাপতির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এ জন্য ডিআরএম ওই কর্মীকে ডেকে ভর্ৎসনা করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় বাড়ি পাঠানো হয় বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন।’’

তবে শাস্তি পাওয়া বসন্তর সহকর্মীরা জানাচ্ছেন, তাঁকে অর্ধনগ্ন করেই বাড়ি পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতাল ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 12 =