চন্দননগর : আবার দীর্ঘ এক বছরের অপেক্ষা। দশমীর রাতে আকাশে বাতাসে যেন বিষাদ আর মন খারাপের সুর। কিন্তু বাংলার সর্বত্র যখন মায়ের বিদায় বেলায় সকলের মন ভার, তখনই চন্দননগরে ঠিক উল্টো ছবি। কারণ, দুর্গাপুজোর বিজয়াতেই যে চন্দননগরবাসীর শারদীয়া শুরু হয়। শুরু হল জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন গোনা।
দুর্গা পুজোর দশমীর দিনেই নিয়ম রীতি মেনে চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর কাঠামো পুজো হয়। চন্দননগরের বেশির ভাগ পুজোরই এই রীতি, যদিও কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে। তবে কলকাতা সহ অন্যান্য জেলার আলো দশমীতে নিভলেও এবার চন্দননগরবাসীর নিঃশ্বাস ফেলার জো নেই। কারণ এবার হুগলির এই বিখ্যাত শহরের সেজে ওঠার পালা।
ভদ্রেশ্বর গৌরহাটি তেঁতুলতলার ২৩০তম বর্ষের কাঠামো পুজো হয়ে গেল নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে। কাঠামো পুজোর পর থেকেই চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী মায়ের মূর্তি গড়ার কাজ শুরু হয়। দুর্গা পুজোর এক মাস পরে শুরু হয় জগদ্ধাত্রী পুজো। কাঠামো পুজোর সময় প্রচুর ভক্ত সমাগম দেখা গেল তেঁতুলতলায়।
সহজ কথায় একদিকে যেমন বিজয় দশমীর বিষন্ন সুর অন্যদিকে চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর শুরু আজকে থেকে। জোরকদমে তোড়জোড় চলছে বড়বাজার জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটিতেও। এবার তাদের ৬০ বছরে পা রাখবে। মা জগদ্ধাত্রীকে মুড়ে দেওয়া হবে সোনায়। গোটা বড় বাজার চত্বর সেজে উঠবে আলোকমালায়। চন্দননগরের মতো কৃষ্ণনগরেও ধুমধাম করে হয় জগদ্ধাত্রী পুজো।