সিসিটিভি বসানোর টাকাই নেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের। অন্তত সূত্রে এমনটাই খবর। ফলে ক্যাম্পাসের মূল ‘পয়েন্ট’ গুলিতে ক্যামেরা বসানো এবং অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মীদের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে মোতায়েন করতে এবার রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতরকে আর্থিক সাহায্য চেয়ে চিঠি লেখার কথা ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এই আর্থিক টানাটানির কারণ হিসেবে সামনে এসেছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সাহায্য কম আসা। আর সেই কারণেই আর্থিক দিক থেকে ধুঁকছে রাজ্যের এই পাঁচতারা বিশ্ববিদ্যালয়। সেই কারণে নিরাপত্তা খাতে অতিরিক্ত খরচ জোগাতে বেশ সমস্যায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে উপায় না পেয়ে রাজ্য সরকারের থেকে আর্থিক সাহায্য চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের খবর, প্রাথমিকভাবে হস্টেল ও ক্যাম্পাসের গেটে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। সঙ্গে এও জানা যাচ্ছে কোনও বেআইনি কাজ রুখতে এত বড় ক্যাম্পাসে নজরদারি প্রয়োজন। সেই কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান পয়েন্টগুলিতে আমাদের ক্যামেরা লাগাতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় অতিরিক্ত খরচ বহনের মতো পরিস্থিতিতে নেই। হস্টেলে নিরাপত্তার জন্য অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মীদের নিয়োগ করার প্রয়োজনীতাও রয়েছে। সেই কারণে সাহায্যের জন্য উচ্চ শিক্ষা দফতরকে চিঠি লেখার কথা ভাবা হচ্ছে। কত টাকার প্রয়োজন, তা একবার হিসেব হয়ে গেলেই চিঠি লেখা হবে।
এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম আর্থিক অনটনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্য ছাড়া কী ভাবে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো ও নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা সম্ভব হবে, সেটাই আমরা বুঝে উঠতে পারছি না এখনও।’