চার ম্যাচে হেরেছি ঠিকই, কিন্তু এটাই শেষ কথা নয়: পাক কোচ

বিশ্বকাপে টানা ৪ হার ঠিক কতটা চাপ তৈরি করেছে পাক শিবিরে? এখনও পাক টিমের গ্রুপ পর্বে ৩ ম্যাচ বাকি রয়েছে। ভারতের মাটিতে চলতি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে, ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিততেই হবে পাকিস্তানকে। আর সেই ম্যাচের জন্যই চূড়ান্ত মহড়ায় আপাতত ব্যস্ত বাবরের গ্রিন আর্মি। বিশ্বকাপের আগে আইসিসি ওডিআই ব়্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর দল হয় বাবরের পাকিস্তান। টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট ধরা হচ্ছিল বাবরের পাকিস্তানকে। কিন্তু ভারতের কাছে আমেদাবাদের ম্যাচ হারার পর থেকে আর জয়ের দেখা মেলেনি পাকিস্তানের। আইসিসি ক্রমতালিকাতেও বাবরের দল এখন নেমে গিয়েছে তিনে। এই পরিস্থিতিতে গ্রুপ পর্বে বাবরদের কাছে বাকি ৩ ম্যাচই ডু-অর-ডাই। তারপর তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি দলগুলোর ফলাফলের দিকে। ইডেনে সাকিব আল হাসানদের বিরুদ্ধে নামার আগে পাক কোচ গ্রান্ট ব্র্যাডবার্ন এসেছিলেন প্রেস কনফারেন্সে। চলতি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ৬টি ম্যাচ খেলে নিয়েছে পাকিস্তান। বাকি আর ৩টি ম্যাচ। এখনও সেমিফাইনালের স্বপ্ন দেখছে পাক শিবির। সেমিফাইনালের সমীকরণ অবশ্য কঠিন। ৩ ম্যাচই বাবরদের জিততে হবে বিরাট ব্যবধানে। কিন্তু স্বপ্ন দেখা ছাড়ছে না পাক শিবির। যে কারণে, বাংলাদেশ ম্যাচের আগে পাক কোচ গ্রান্ট ব্র্যাডবার্ন বললেন, ‘এখনও গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ বাকি রয়েছে। আমরা সেমিফাইনালের স্বপ্ন দেখা ছাড়িনি এখনও।’ বিশ্বকাপে টানা ৪ ম্যাচ হেরে কোণঠাসা বাবর আজমরা। অবশ্য পাক কোচের কথায় কিন্তু এখনও আত্মবিশ্বাস রয়েছে। তিনি বলেন, ‘৪টে ম্যাচে হার আমাদের দলটার মনোভাব প্রকাশ করে না। এই হার দিয়ে আমাদের দলকে বিচার করলে হবে না। আর এই হার দিয়ে তাই আমাদের দলটাকে মাপার কোনও মানে নেই। প্রতিটা ম্যাচেই দলের ছেলেরা ভালো পারফর্ম করার চেষ্টা করছে। আমরা প্রতি ম্যাচের জন্যই নিজেদের সেরাটা দিয়ে তৈরি হচ্ছি। ভলো ক্রিকেট উপহার দিয়ে দর্শকদের আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করছে দলের ছেলেরা।’ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে ১ উইকেটে হারে পাকিস্তান। যে হার একেবারেই মেনে নিতে পারেননি পাক ক্রিকেটাররা এবং তাঁদের সমর্থকরা। বাংলাদেশ ম্যাচের আগে অবশ্য পাক কোচের সামনে প্রশ্ন গেল, ভারত ম্যাচের হারই কি তা হলে পাক শিবিরকে নাড়িয়ে দিয়েছে? পাক কোচ বললেন, ‘১ লক্ষ ৩০ হাজার দর্শকের সামনে পারফর্ম করেছিল ছেলেরা। এর আগে আমাদের কখনও এত দর্শকদের সামনে খেলার অভিজ্ঞতা হয়নি। একটা নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে সকলের। আমরা নতুন নতুন ভেনুতে খেলছি। অবশ্য সব ম্যাচের আগেই হোমওয়ার্ক করে নিচ্ছি। ইডেন ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী।’ প্রতিপক্ষ বাংলাদেশকে কোনও দিক থেকেই হালকা ভাবে নিচ্ছে না পাক শিবির। যে কারণে ম্যাচের আগে তিনি বললেন, ‘বাংলাদেশ যথেষ্ট ভালো দল। কোনও ভাবেই ওদের হালকা নিচ্ছি না।’ পাক ক্রিকেটাররা দীর্ঘদিন পর ভারতে খেলতে এসেছে। এখানকার পরিবেশের সঙ্গে তাঁরা পরিচিত নন। আইপিএলেও পাক ক্রিকেটাররা খেলেন না। এই প্রসঙ্গে পাক কোচ জানান, পাকিস্তানের প্লেয়ারদের ভারতে আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা নেই। যে কারণে এখানকার পরিবেশের সঙ্গে তাঁরা পরিচিত নয়। এখানকার উইকেট খুব ফাস্ট। নতুন পরিবেশে দলের ছেলেরা খেলছে। কোচের এই কথা শুনে মনে হতেই পারে, ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে সমস্যাই হচ্ছে গ্রিন আর্মির। তিনি সরাসরি না বললেও, ঘুরিয়ে পাক প্লেয়ারদের আইপিএলে না খেলা তাঁদের যে অসুবিধা সৃষ্টি করছে সেটাই বলতে চাইলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − 3 =