কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থের বান্ধবী অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পর গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। বছর ঘুরে গিয়েছে। বারাবার জামিনের আবেদন জানালেন প্রভাবশালী তত্ত্বে তা খারিজ হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এবার জেলে অ্যাসিস্ট্যান্ট চেয়ে বিচারপতির কাছে আর্জি জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আদালতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর তরফে বলা হয়, তাঁর শরীর ভালো যাচ্ছে না, অ্যাসিস্ট্যান্ট থাকলে ভালো হয়।
গত বছর ২২ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। ২৩ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয় রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে। জামিন চাইলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে বারাবার আদালতকে একাধিক যুক্তি দেথিয়েছে পার্থ কতটা প্রভাবশালী। তিনি জেলের বাইরে গেলেই তথ্য-প্রমাণ নষ্ট করবেন।
পার্থর জামিন চেয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে জোর সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী। শুনানিতে বলা হয়, ‘গত বছর ১১-১২ জনের নাম সামনে এনেছে সিবিআই। তাহলে কি সিবিআই বলতে চায়, শুধু ওই ১১-১২ জনই গোটা কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত? পার্থবাবু ২০১৪ সালে মে মাসে মন্ত্রী হয়েছিলেন, সুবীরেশের নিয়োগ তার আগে। এসএসসি স্বশাসিত সংস্থা। মন্ত্রীর কোনও ভূমিকা থাকে না। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, দপ্তরের সচিব আর মন্ত্রিসভাই সবটা ঠিক করে’।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট জমা পড়েছে আদালত। সেই চার্জশিটের অংশ তুলে ধরে পাল্টা সওয়াল করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তাঁর দাবি, ‘নাকতলার বাড়িতে বসেই তালিকা তৈরি করতেন পার্থ। বাড়ির নীচেই অফিস বানিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই পাঠানো হত তালিকা। সুবীরেশকে বাড়িতে ডেকে তালিকা দিতেন পার্থ। গোটা পরিকল্পনাটা বাস্তবায়িত করার জন্যই সুবীরেশকে পদে বসানো হয়েছিল’।