শ্রীহরিকোটা:একটা ইতিহাস তৈরির পথে ইসরোর চন্দ্রযান-৩। তবে তার আগে ভারতের মহাকাশ গবেষণার মুকুটে জুড়ল নতুন পালক। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন)-র উদ্যোগে সাত-সাতটি বিদেশি কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিল ভারতের রকেট। রবিবার ভোরে সিঙ্গাপুরের সাতটি কৃত্রিম উপগ্রহ ইসরোর পিএসএলভি-সি৫৬ রকেটের মাধ্যমে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে। সেগুলিকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপন করেছে ইসরোর মহাকাশযান। সিঙ্গাপুরে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস ইসরোর সফল উৎক্ষেপণের কথা জানিয়েছে। তাদের টুইটে বলা হয়েছে, ‘ভারত এবং সিঙ্গাপুরের যৌথ উদ্যোগে মহাকাশকেন্দ্রিক আরও এক সাফল্য এল। ইসরোর মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের সাতটি কৃত্রিম উপগ্রহের উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে।’
এদিন ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের ‘লঞ্চিং প্যাড’ থেকে পিএসএলভি-সি৫৬ রকেটটির উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের যে সাতটি কৃত্রিম উপগ্রহ ইসরোর রকেটে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে, তার মধ্যে প্রাইমারি উপগ্রহটির নাম ডিএস-এসএআর। এ ছাড়া আরও ছ’টি সহকারী উপগ্রহ রয়েছে তার সঙ্গে। মহাকাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথ থেকে এই উপগ্রহগুলি পৃথিবীকে পর্যবেক্ষণ করবে এবং ছবি তুলে পাঠাবে।
এখান থেকেই কিছু দিন আগে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল ইসরোর চন্দ্রযান-৩। চন্দ্রযান-৩-এর সফল উৎক্ষেপণ এবং পর্যালোচনা নিয়ে এমনিতেই চর্চার কেন্দ্রে রয়েছে ইসরো। গত ১৪ জুলাই তারা চন্দ্রযান-৩ মহাকাশে পাঠিয়েছে। যদি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩ থেকে ল্যান্ডার বিক্রম সফল ভাবে নামতে পারলে এবং রোভার প্রজ্ঞানকে সঠিক ভাবে অবতরণ করাতে পারে, তবে ভারতীয় মহাকাশ অভিযানের ইতিহাস নতুন মাত্রা পাবে। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে ইসরোর মহাকাশযান।