আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পশ্চিম এশিয়া সফরের আগে গাজার উপর বিধিনিষেধ আরও কঠোর করল ইজরায়েল। ৩৬৫ বর্গকিলোমিটারের ওই ভূখণ্ডের ২৩ লক্ষ প্যালেস্তিনীয় বাসিন্দার জল, খাবার, বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছিল আগেই। এ বার সেখানে আন্তর্জাতিক ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর উপরেও বিধিনিষেধ জারি করল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার।
গত ৭ সেপ্টেম্বরে ভোরে গাজা সীমান্ত পার হয়ে ইজরায়েলের ভূখণ্ডে হামলাকারী হামাস যোদ্ধারা রাষ্ট্রপুঞ্জের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)-এর পাঠানো ‘মেডিক্যাল কিট’ ব্যবহার করেছে বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিল তেল আভিভ। হামলাকারী হামাস বাহিনীর ব্যবহৃত ইউনিসেফের ত্রাণসামগ্রীর ছবিও প্রকাশ করেছিল ইজরায়েল। অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠানোর জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার অনুরোধও তারা নাকচ করেছিল। পাশাপাশি, দক্ষিণ গাজা সংলগ্ন মিশরের রাফা সীমান্ত দিয়ে বন্ধ করা হয়েছিল পণ্য যাতায়াত।
উত্তর ও মধ্য গাজার বাসিন্দাদের ঘর ছাড়ার জন্য ‘চরম সময়সীমা’ শেষ হলেও এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে স্থলপথে ইজরায়েলি সেনার গাজা অভিযান শুরু হয়নি। তবে মঙ্গলবারও দফায় দফায় বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে গাজায়। কয়েকটি এলাকা থেকে ইজরায়েল ফৌজের সীমান্ত লঙ্ঘনেরও খবর এসেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছিল, ‘অবিলম্বে গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছনো প্রয়োজন।’ কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই ‘মানবিক সাহায্য’ পৌঁছয়নি গাজায়। তার সম্ভবনাও কার্যত বন্ধ করে দিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার।