জেরুজালেম: ইজরায়েলে আচমকা প্যালেস্তানীয় জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলার পর কঠোর অবস্থান নিলেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এক ভিডিও বার্তায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, শত্রুদের এবার চরম জবাব দেওয়া হবে। যা হবে নজিরবিহীন। তিনি আরও বলেছেন, ‘এই যুদ্ধ আমরা জিতবই’। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাধারণ মানুষ, সেনা এবং জঙ্গি-সহ ৫০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন।
এদিকে, নেতানিয়াহুর হুমকির পর রাষ্ট্রসংঘ গাজায় তাদের আশ্রয় শিবিরগুলি খুলে দিয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন।
প্যালেস্তানীয় জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের ‘অপারেশন আল আকসা ফ্লাড’-এর জবাবে ইজরায়েল ‘অপারেশন আয়রন সোর্ড’ শুরু করেছে শনিবার রাতেই। গাজার উপকূলীয় এলাকায় তুমুল বোমা বর্ষণ করেছে ইজরায়েলি বাহিনী। হামাসের রকেট হামলার জবাবে ইজরায়েল শনিবার যুদ্ধ ঘোষণা করে। শনিবার রাতভর ১৭টি জায়গায় তুমুল সংঘর্ষ হয়। নেতানিয়াহুর লক্ষ্য, হামাসের হাতে বন্দি ইজরালেয়ের সাধারণ মানুষ এবং সেনা ও সরকারি কর্তাদের মুক্ত করা। তাদের মধ্যে বেশ কিছু শিশু এবং নারী হয়েছেন। অন্যদিকে, হামাসের দাবি, ইজরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিতে হবে।
শনিবার সকালেই জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস গাজা সীমান্ত থেকে মাত্র ২০মিনিটের মধ্যে পাঁচ হাজার রকেট ছোড়ে। যার জেরে কঠোর জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইজরায়েল।
ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামাসের আকস্মিক হামলার একদিন পর, দক্ষিণ ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধা এবং ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, হিজবুল্লাহ লেবানন থেকে অধিকৃত শেবা ফার্মে মর্টার হামলার দায় স্বীকার করেছে। ইসরায়েল বলছে, তারা কামান হামলার জবাব দিয়েছে।
ইজরায়েলি সেনা সূত্রে খবর, ২২টি জায়গায় হামাস জঙ্গিদের সঙ্গে ব্যাপক লড়াই চলছে। ইজরায়েলি সেনার মেজর জেনারেল ঘাসান আলিয়ান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, হামাসদের উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজায় ১০০-র বেশি বাড়ি হামাসের রকেট হামলায় গুঁড়িয়ে গিয়েছে। ইজরায়েলি সেনার এক মুখপাত্র রিচার্ড হেক্ট বলেন, ‘জঙ্গিরা সাধারণ মানুষের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়েছে। ঘরে ঢুকে হত্যা করেছে নিরীহ মানুষকে। এর জবাব আমরা দেবই।’
এই মুহূর্তে ইজরায়েলের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল হামাসের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডোদের খুঁজে বের করা। শনিবার রকেট হামলার সময়ই অস্থির পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে হামাস বাহিনী ইজরায়েলের বেশ কিছু শহরে ঢুকে পড়েছে।