চোপড়ার পর ভাঙড়,পঞ্চায়েত নির্বাচনে বলি আরও ১

পঞ্চায়েত নির্বাচনের বলি আরও এক। চোপড়ার পর এবার ভাঙড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক আইএসএফ কর্মীর। মৃত আইএসএফ কর্মীর নাম মহম্মদ মহিউদ্দিন মোল্লা। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের গুলির আঘাতেই মহম্মদ মহিউদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি আইএসএফ-এর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন ভাঙড় ২ বিডিও অফিস থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় ওই আইএসএফ কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। সঙ্গে গুলি লাগে আরও কয়েকজনেরও। বৃহস্পতিবার শেষ দিন মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ভাঙড়ে। মনোনয়ন ঘিরে যথেচ্ছ বোমাবর্ষণ হয়। সব মিলিয়ে এক রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাঙড়।
পাশাপাশি এ খবরও মিলেছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। এদিন সকাল থেকেই বিজয়গঞ্জ বাজারের মাঠ এলাকার কার্যত দখল নিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। এরপরই দফায় দফায় তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে বিরোধ বাধে। লাঠি, বাঁশ নিয়ে একে ওপরের বিরুদ্ধে তেড়ে যেতেও দেখা যায়। এরপরই ব্লক অফিস চত্বরেই শুরু হয় বোমাবাজি। এদিকে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। দুই পক্ষের কর্মীকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাঙড়।
এই ঘটনায় তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, কাঠালিয়া মোড়ে আইএসএফ-এর তরফ থেকে বোমা মারা হয়েছে। এদিকে আইএসএফ-এর তরফে অভিযোগ, বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় বাধা দেওয়া হয় তৃণমূলের তরফে। পরিস্থিতি সেই সময় থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করে। এরপর আইএসএফ কর্মীরা মনোনয়ন জমা দিতে না পারায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে প্রবল মারামারি, অশান্তি শুরু হয়।
এদিকে সূত্রে এ খবরও মিলছে, শেষ দিনে মনোনয়ন জমার সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরও অনেকেই মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বলে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এতে আরও প্রতিকূল আবহ তৈরি হয় ভাঙড়ে। এরপর গোটা এলাকায় পুলিশি টহলদারি শুরু হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + thirteen =