বিশ্বকাপে বড় অঘটন, আয়ারল্যান্ডের কাছে হার ইংল্যান্ডের

ইতিহাসের পাতায় দুই দেশ বরাবরই যুযুধান। প্রজন্ম যতই পাল্টাক, অতীত ঠিক ফিরে আসে! খেলার মাঠে তো কথাই নেই। সেই অর্থে ধরলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই প্রথম মুখোমুখি নামল দুই দেশ। ২০১০ সালে এক বার সাক্ষাৎ হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু বৃষ্টিতে ওই ম্যাচ ভেস্তে যায়। ১২ বছর পরের আয়ারল্যান্ড এক অন্য ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ। কেন? অঘটনের নিরিখে দেখলে এর আগে আয়ারল্যান্ড খুব একটা ছাপ রাখতে পারেনি। কিন্তু এ বারের বিশ্বকাপ আইরিশদের কাছে ‘অন্য রকম’ হতে চলেছে।

তারই ইঙ্গিত মিলছে মেলবোর্নে। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে রীতিমতো চমকে দিলেন অ্যান্ড্রু বলবির্নিরা। গ্রুপ স্টেজ ধরলে, দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছিটকে গিয়েছে। হারিয়ে যেতে যেতে সুপার-টুয়েলভে উঠেছে শ্রীলঙ্কা। আইরিশরা কিন্তু শুরু থেকেই চমৎকার পারফর্ম করছে। অবশ্য, সুপার-১২-র প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছিল তারা। সেই হারের ক্ষত কতটা তাজা ছিল, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বুঝিয়ে দিলেন বলবির্নিরা।

আইরিশদের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই পেন্ডুলামের মতো দুলছিল ইংল্যান্ডের ইনিংস। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে শেষ অবধি ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে হেরে গেলেন জস বাটলাররা। মেলবোর্নে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। প্রথমে ব্যাটিং করে ৪ বল বাকি থাকতেই ১৫৭ রান তুলে অল আউট হয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবির্নি ও পল স্টার্লিংয়ের ওপেনিং জুটিতে ওঠে ২১ রান। দ্বিতীয় উইকেটে বলবির্নির সঙ্গে লোরকান টাকার জুটি বাঁধেন। সেই জুটিতে ৫৭ বলে ওঠে ৮২ রান। লোরকান রান আউট না হলে, এই জুটি আরও বড় রানের পার্টনারশিপ গড়তে পারত। পল স্টার্লিংয়ের (১৪) উইকেট নেওয়ার পর শূন্যে টাকারকে ফেরান মার্ক উড। ১৬ ওভারের মাথায় ছন্দে থাকা আইরিশ অধিনায়ক বলবির্নির (৬২) উইকেট তুলে নেন লিয়াম লিভিংস্টোন। এরপর আয়ারল্যান্ডের উইকেট ধ্বস নামে। মাত্র ২৫ রানের মধ্যে ৬টি উইকেট হারিয়ে ফেলে আইরিশরা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − ten =