সুখ। ছোট্ট শব্দ। কিন্তু জীবনে সেটা পেতেই অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। সুখ নিয়ে আছে বাংলায় বিখ্যাত গান আছে– ‘সবাই তো সুখী হতে চায়, কেউ সুখী হয়, কেউ হয় না’!
জানেন কি, এই সুখ নিয়েও দিবস হয়? ২০ মার্চ আন্তর্জাতিক সুখ দিবস। ২০১২ সালের জুন মাসে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভা ২০ মার্চ তারিখটিকে আন্তর্জাতিক সুখ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। আর এর পরের বছর ২০১৩ সালে প্রথমবার আন্তর্জাতিক সুখ দিবস পালিত হয়। আন্তর্জাতিক সুখ দিবস পালনের প্রধান উদ্দেশ্য হল জীবনে সুখের গুরুত্ব কী, সেটা বিশ্বব্যাপী সাধারণ মানুষকে বোঝানো।
সুখের সঙ্গে জড়িয়ে অর্থনৈতিক অবস্থা, জীবন যাপনের মানোন্নয়ন। সুখের অনেকটা যেমন পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্ত, তেমনই এর সঙ্গে মনের যোগও নিবিড়। যেমন কেউ অল্পে খুশি, সুখী। কারও চাহিদার পিছনে ছুটতে গিয়ে সুখ অধরা।
তবৈ দৈনন্দিন জীবনে কয়েকটি টিপস মানলে সুখের রাস্তা সহজ হতে পারে।
নিজের জীবন উপভোগ করুন- যেটা ইচ্ছে হচ্ছে সেটা করার চেষ্টা করুন। নিজের ভালো লাগার খাবার, পোশাক পরা, বেড়াতে যাওয়া এগুলোকে প্রাধান্য দিন। এই পোশাক পরেছি, লোকে কী বলবে বা বাড়ির সকলের যা ভালোবাসে তাই তো রান্না হবে, এসব ছেড়ে নিজের ইচ্ছেকে প্রয়োজন মতো গুরুত্ব দিন।
আত্মবিশ্বাস বাড়ান- জীবনে ঝড়ঝাপটা আসবেই। কিন্তু নিজের ওপর বিশ্বাস হারালে চলবে না। এই বিশ্বাসটাই জীবনে সুখী হতে সাহায্য করবে। অন্ধকার সময়ে স্বপ্ন দেখুন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য পরিশ্রম করুন। সত থাকুন। আদর্শ জীবনযাপন, নিজের ওপর বিশ্বাস জীবনে সুখের অন্যতম চাবিকাঠি।
ইগো- জীবনে ইগো অনেক সময় কাছের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করে আবার মনকে অশান্ত করে রাখে। তাই ইগো বা অহংকে জীবন থেকে ধীরে ধীরে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করুন। এটা একদিনে হওয়ার নয়। অভ্যেস করতে হয়। মনে রাখবেন, অহং আর আত্ম সম্মানবোধ এক জিনিস নয়। দুটোকে গুলিয়ে ফেললে হবে না।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার- জীবনে কৃতজ্ঞতা বোধের মানসিকতা রাখুন। সুখী হবেন।
ছোট খুশি উদযাপন-জীবনের ছোট খাটো মুহূর্তগুলোকেও নিজের মতো করে উদযাপন করুন।দেখবেন, একঘেয়ে জীবনে আনন্দ ফিরে আসবে।
নিজের দোষ মানতে শিখুন-অনেক সময় অনেক বিষয় নিয়ে ঝগড়া করি। পরে হয়তো মাথা ঠান্ডা হলে ভেবে দেখা যায়, এতে আপনারও দোষ ছিল। ভালো থাকতে গেলে, নিজের ভুল গুলোকে দেখার অভ্যেস করুন, স্বীকার করতে শিখুন। অনেক অশান্তি এতে এড়ানো যাবে।