আই লিগে খেলতে চেয়ে এ বার দরপত্র জমা দিল কলকাতার একটি কোম্পানি। আগেই ফেডারেশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, নতুন মরসুমের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি দল নেওয়া হবে। তার জন্য বিড পেপার ওপেন করা হয়েছিল। বিডিং ক্রাইটেরিয়াকে তিন ভাগে ভাগ করে ফেডারেশন। প্রথম সারিতে রাখা হয় নয়াদিল্লি, বেঙ্গালুরু, পুণে, গুরুগ্রামের মতো শহরকে। দ্বিতীয় সারিতে রাখা হয় রাঁচি, ইটানগর, জলন্ধর, লুধিয়ানার মতো শহর। তৃতীয় সারিতে রাখা হয় পঞ্চায়েত অধীনস্থ ক্লাবকে। মঙ্গলবার বৈঠকে বসে আই লিগ কমিটি। ফেডারেশন সচিব সাজি প্রভাকরণ এবং কার্যকরী কমিটির সদস্য লালঘিংলোভা হামারও ছিলেন সেই বৈঠকে। আই লিগে খেলতে চেয়ে পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দরপত্র জমা দিয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কলকাতার একটি কোম্পানি। কলকাতার সেই কোম্পানির নাম ওয়াই এম এস ফিনান্স প্রাইভেট লিমিটেড। আই লিগে খেলতে চেয়ে দরপত্র জমা দেয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। ১৯৯৪ সালে কলকাতার ব্র্যাবোর্ন রোডে এই কোম্পানির পথ চলা শুরু। কলকাতার কোম্পানি হলেও, এই শহর থেকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য দরপত্র জমা দেয়নি তারা। বারাণসী থেকে খেলার জন্য দরপত্র জমা দিয়েছে কলকাতার এই কোম্পানি। আই লিগে খেলতে চেয়ে দরপত্র জমা দিয়েছে দিল্লি, গুরুগ্রাম এবং বেঙ্গালুরুর ফ্র্যাঞ্চাইজি। গুরুগ্রাম থেকে বিড পেপার জমা দেয় বাঙ্কারহিল। গত দু’বছর মহমেডান স্পোর্টিংয়ে বিনিয়োগ করে এই সংস্থা। এ বার গুরুগ্রাম থেকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আলাদা ভাবে দরপত্র জমা দিল বাঙ্কারহিল। ইনভেস্টর কর্তা দীপক কুমার সিংয়ের সঙ্গে এখনও আলোচনা চালাচ্ছেন সাদা–কালো কর্তারা। পঞ্জাবের নামধারি সিডসও আই লিগে খেলতে চেয়ে দরপত্র জমা দেয়। আইএসএলের কোনও রিজার্ভ দল এ বার থেকে দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় ডিভিশনে খেলতে পারবে না। মঙ্গলবার আই লিগ কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত। শেষ কয়েকবছর আইএসএলের রিজার্ভ দল দ্বিতীয় ডিভিশনে খেললেও এ বার আর সেই সুযোগ থাকছে না। এই মরসুমে আট দলের আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশন হবে। গত বছর আই লিগের মূলপর্বে যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ তিনটি দল খেলবে দ্বিতীয় ডিভিশনে। গত আই লিগে অবনমনকারী দুটো দল খেলবে দ্বিতীয় ডিভিশনে। এছাড়া তৃতীয় ডিভিশন থেকে দ্বিতীয় ডিভিশনে প্রোমোশন পাওয়া তিনটে দল রয়েছে। এ দিকে বয়সভিত্তিক লিগের জন্য নতুন ফরম্যাট চালু করা হল। বয়সভিত্তিক লিগে কমছে ফুটবলারের সংখ্যা। অনূর্ধ্ব–১৫ লিগে প্রত্যেক দলের ৯ ফুটবলার মাঠে নামতে পারবে। অন্যদিকে অনূর্ধ্ব–১৩ লিগ হবে সেভেন সাইডের। অক্টোবরের মধ্যে রাজ্য লিগ শেষ করার নির্দেশ। একই সঙ্গে নভেম্বরের মধ্যে জাতীয় লিগ শুরু করার নির্দেশ দিল ফেডারেশন।