বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস মানেই ধর্ষণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের

কলকাতা: বিয়ে হবে, সেটা জানার পর দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক সহবাস করলে সেটা ধর্ষণ নয়। তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের। ২০০৯ সালের একটি মামলায় এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, সম্পর্কে টানাপোড়েন হলেই বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ডানকুনি থানা এলাকায় দুই মুসলিম পরিবার একে অপরের সঙ্গে আত্মীয়তা বাড়ানোর জন্য নিজেদের ছেলে ও মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দু’জনের মধ্যে মেলামেশা বাড়ে। বিয়ে হবে জানার পর পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা শুরু হয়। কিন্তু পরে হবু পাত্র পরে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে কর্মস্থল গোয়াতে বসবাস শুরু করে।
এরপরই ওই যুবকের বিরুদ্ধে মেয়ের পরিবার ডানকুনি থানায় বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এবং ধর্ষণের অভিযোগ আনে। ছেলের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তাদের ৪১ ধারায় নোটিস পর্যন্ত দেয়নি। সোজা পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ৩৭৬ এবং অন্যান্য ধারায় মামলা রুজু করে। জাহাঙ্গিরের বাবাকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। যদিও পরে তিনি নিম্ন আদালতে জামিন পান। পাত্রীর পরিবারের অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টে পালটা মামলা দায়ের করে ছেলের পরিবার।
বুধবার বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের এজলাসে মামলা চলাকালীন আবেদনকারীর আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী জানান, পাত্রীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। কারণ দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্ক। সেক্ষেত্রে দুজনের সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এটাকে ধর্ষণ বলে গণ্য করা যায় না। তাছাড়া পাত্রের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ৩৭৬ ধারায় মামলা রুজু করা আসলে ডানকুনি থানার অতিসক্রিয়ার পরিচয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × two =