জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রনেতাদের সামনে উদ্বোধনী ভাষণ পেশ করছেন, তখন সবার নজর কাড়ল তাঁর সামনে থাকা নেম প্লেট। খয়েরি রঙের ওপর সাদা অক্ষরে লেখা ‘ভারত’। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতকে ইন্ডিয়া বলেই উল্লেখ করা হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। সেখানে জি-২০ সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিদের সামনে ‘ভারত’ নামটিকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হল শনিবার। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, নাম বদলের সম্ভাবনা তবে জোরাল হচ্ছে কি না তা নিয়ে। এর আগে রাষ্ট্রপতির দেওয়া আমন্ত্রণপত্রে কেন ‘ইন্ডিয়া’র বদলে ‘ভারত’ লেখা হল, তখন থেকেই জল্পনার সূত্রপাত। এবার জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনের শুরুতেই আরও একধাপ এগোল ভারত।
প্রসঙ্গত, জি-২০ সম্মেলনের নৈশভোজের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে যে আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছিল, তাতে ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া’র বদলে লেখা হয় ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’। সেই আমন্ত্রণপত্র ঘিরে তৈরি হয় বিতর্কও। এমনটাও মনে করা হচ্ছে যে লোকসভার বিশেষ অধিবেশন আদতে এই নাম পরিবর্তনের জন্য ডাকা হয়েছে।
জি ২০ সম্মেলনের বুকলেটেও ভারত নামটি উল্লেখ করা হয়েছে। লেখা হয়েছে ভারত, দ্য মাদার অব ডেমোক্রেসি। সেখানে আরও লেখা হয়েছে, ভারত-ই দেশের স্বীকৃত নাম। দেশের সংবিধানেও এর উল্লেখ আছে। এদিনের বক্তব্যেও প্রধানমন্ত্রী বারবার ‘ভারত’ বলেছেন, একবারও ‘ইন্ডিয়া’ বলেননি।
আর এই ইস্যুতেমোদি সরকারকে আক্রমণ শানায় বিরোধীরাও। ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতের ইতিহাস তছনছ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, বিজেপির পাল্টা দাবি, বিরোধী জোটের শরিকরা সংবিধান বিরোধী কথা বলছেন। বিজেপি নেতাদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব নাম পরিবর্তন করা উচিত। কারণ ভারত নামটা গর্বের। এদিকে রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়ে দিয়েছে, ভারত সঠিকভাবে নাম পরিবর্তনের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেই নামে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।