সুজিত ভট্টাচার্য, কাঁকসা: শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে (children education centre) খিচুড়ি রান্নার জন্য ভেজানো চালে ভাসছে আরশোলা, মাকড়শা সহ একাধিক পোকামাকড়। সেই খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানো হবে বিদ্যালয়ের শিশুদের ও এলাকার গর্ভবতী মায়েদের। মঙ্গলবার এমন ঘটনা চোখে পড়তেই শিক্ষিকাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনা জানাজানি হতেই শিক্ষিকাকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা ও এলাকার বাসিন্দারা।
ঘটনাটি ঘটেছে, কাঁকসার বেলডাঙার ছেতোডাঙা আদিবাসী পাড়ার শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে। স্থানীয় বাসিন্দা উর্মিলা টুডু ও প্রিয়াঙ্কা মুর্মু অভিযোগ তুলে বলেন, বিদ্যালয়ের চারপাশে আগাছা জন্মেছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যেই এলাকার শিশুরা ওই শিক্ষা কেন্দ্রে আসে এবং সেখানে তারা খিচুড়ি খায় নিত্যদিন। এছাড়াও এলাকার প্রসূতি মা ও গর্ভবতী মহিলারাও রোজ তাদের খাবার নিতে আসেন। যে ঘরের ভেতর রান্না হত সেই ঘরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হত না। মঙ্গলবার সকালে অন্যান্য দিনের মতো খিচুড়ি রান্না হওয়ার সময় একজন অভিভাবক একটি পাত্রে ভেজানো চালের মধ্যে পোকামাকড় পড়ে থাকতে দেখে ওই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকা প্রতিমা লাহাকে প্রশ্ন করতেই তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এর পরেই এলাকাবাসীকে বিষয়টি জানানো হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই ওই কেন্দ্রের শিক্ষিকা ও সহ কর্মীকে ঘেরাও করে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। অবশেষে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে পোকামাকড় পড়ে থাকা চাল ফেলে দেওয়ার পাশাপাশি এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়ে গ্রামবাসীদের মুচলেকা দিয়ে তবেই মুক্তি মেলে ওই শিক্ষিকার।
গোটা বিষয়টি জানানো হয় স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে। গ্রামের বাসিন্দারা ওই শিক্ষিকাকে বহিষ্কার করার আবেদন নিয়ে পানাগড় আইসিডিএস কেন্দ্রের আধিকারিককে চিঠি লিখে পাঠান। ফোনে সংবাদমাধ্যমের কাছে ঘটনার কথা স্বীকার করেন প্রতিমা লাহা। তিনি জানিয়েছেন, পাত্রের ঢাকনা খোলা থাকার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। কাঁকসা ব্লকের আইসিডিএস কেন্দ্রের সিডিপিও নূপুর বিশ্বাস ফোনে জানিয়েছেন গ্রামবাসীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন।