হেক্সার স্বপ্নপূরণ করতে হলে নেইমারকে চাই-ই চাই। সার্বিয়ার বিরুদ্ধে সেই প্রথম ম্যাচে গোড়ালিতে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে তিনি। নেইমারকে ছাড়াই কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ঘরে পা দিয়েছে ব্রাজিল। এখান থেকে চ্যালেঞ্জ আরও বেশি। সেলেকাওরা চাইছে, দ্রুত চোট সারিয়ে দলে ফিরুক নেইমার। তিনি নিজেও এ বিষয়ে সচেষ্ট। জিমে হালকা ট্রেনিং শুরু করেছিলেন। সেই ছবি দেখে আশ্বস্ত হয়েছিলেন সমর্থকরা। এ বার নিজের দল ও সমর্থকদের একরাশ স্বস্তি দিয়ে বল নিয়ে মাঠে নেমে পড়লেন নেইমার স্যান্টোস জুনিয়র। দীর্ঘক্ষণ অনুশীলনে গা ঘামালেন। নকআউটের আগে ব্রাজিলিয়ানদের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত।
গ্রুপ স্টেজের বাকি দুটি ম্যাচ খেলতে পারেননি। পিএসজি তারকার শেষ ষোলোর ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে কোচ তিতে তাঁকে মাঠে নামাবেন কিনা জানা নেই। তবে ব্রাজিল যদি কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে সেক্ষেত্রে নেইমারের খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলে ধরে নেওয়াই যায়। ডান পায়ের গোড়ালিতে চোট থাকায় শনিবার কঠোর অনুশীলন করতে দেখা যায়নি নেইমারকে। তাঁকে যথেষ্ট ফিট এবং ঝরঝরে মনে হয়েছে।
দুটি পায়েই বলে শট নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। গোলেও শট নিতে দেখা যায়। চেনা ভঙ্গিতে সামান্য সেলিব্রেশন করতেও দেখা যায়। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে মুখে চওড়া হাসি নিয়ে পোজ দেন। সব দেখেশুনে ব্রাজিল সমর্থকদের আশা, সোমবার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামতে চলেছেন নেইমার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যপক সক্রিয় নেইমার। কাতার বিশ্বকাপের মাঝেও তাঁর ইনস্টা, টুইটার সচল। চোট আতঙ্কের মাঝেই অনুশীলনের ছবি পোস্ট করলেন ইনস্টাগ্রামে। অনুরাগীদের জানালেন, তিনি এখন সুস্থবোধ করছেন। ইনস্টা পোস্টে নেইমারের হাসিমুখের ছবিগুলি দেখেই তা বোঝা গিয়েছে। লিখেছেন, “আমি এখন সুস্থবোধ করছি। আমি যে সুস্থ হয়ে উঠব এটা জানতাম।” ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে দলের খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন নেইমার। দর্শক হয়ে দলের হার দেখেছেন। এ বার মাঠে নামার পালা।