ডার্বিতে চোট, অনির্দিষ্টকালের জন্য ছিটকে গেলেন লাল-হলুদের ডিফেন্ডার

নতুন মরসুমে দল গুছিয়ে নিচ্ছিল লাল-হলুদ শিবির। নতুন কোচ। পুরো কোচিং টিম নতুন। তেমনই হাতে গোনা ক’জন ছাড়া পুরো টিমটাই নতুন। মরসুমের শুরুটাও ভালো হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। ডুরান্ড কাপে রানার্স। গ্রুপ পর্বে মরসুমের প্রথম ডার্বিতে মোহনবাগানকে হারিয়েছিল লাল-হলুদ। ডুরান্ড ফাইনালে মোহনবাগানের কাছে হার। শেষ দিকে দশ জনের মোহনবাগানের কাছেও হার। ম্যাচের প্রথমার্ধে আরও একটা ধাক্কা খেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল শিবির। ম্যাচের বয়স আধঘণ্টা পেরোতেই চোটে মাঠ ছেড়েছিলেন অজি ডিফেন্ডার জর্ডন এলসে। এ মরসুমেই ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়েছেন এলসে। অল্প সময়ের মধ্য়ে সমর্থকদের সঙ্গেও দারুণ ভাবে মিশে গিয়েছেন। কলকাতার সমর্থকদের আবেগ তাঁকে মুগ্ধ করেছে। ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচ ছিল বাংলাদেশ আর্মি ফুটবল টিমের বিরুদ্ধে। তিনি মাঠে নামার কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি বল আসে। হেডে তা ক্লিয়ার করতে চেয়েছিলেন। টাইমিং ঠিক হয়নি। সেই মুভ থেকেই প্রথম গোল খায় ইস্টবেঙ্গল। এরপর আরও একটি। ম্যাচে ২-০ এগিয়ে থেকেও ২-২ ড্র করেছিল ইস্টবেঙ্গল। সময়ের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সে ভরসা হয়ে উঠছিলেন জর্ডন এলসে। ডুরান্ড ফাইনালে হাঁটুতে চোট পান। মাঠ ছেড়ে বেরোনোর সময়ই একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। চোটের গুরুত্ব বোঝা যায়নি। এ দিন ক্লাবের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কয়েক মাসের জন্য পাওয়া যাবে না এলসেকে। তবে তাঁর চোটের কী পরিস্থিতি, কতদিন তাঁকে পাওয়া যাবে না, এ অবশ্য নিশ্চিত করা হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতিতে ধাক্কা খেল ইস্টবেঙ্গল। চিন্তা বাড়ল হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − 6 =